মেয়ে শরীরে কীসের প্রভাবে যৌবনোদ্গম ও তার বিকাশ হয়! জানুন বিজ্ঞানের ভাষ্য


চিকিৎসাশাস্ত্র অনুসারে মেয়েদের যৌনদ্গমের সূচনা ৯ বছর বয়সে। আর তার বিকাশ চলতে থাকে মোটামুটি ২০ বছর বয়স পর্যন্ত।


শৈশব থেকে কৈশোর। কৈশোর থেকে যৌবন। এই যৌবনের শুরু, উন্মেষ ও ক্রমবিকাশ প্রকৃতির ধারা। নর বা নারী উভয় শরীরেই এই ধারা বহমান। কিন্তু তার প্রকাশ নারী শরীরে যে ভাবে সে ভাবে পুরুষ শরীরে নয়। চিকিৎসাশাস্ত্র অনুসারে মেয়েদের যৌনদ্গমের সূচনা ৯ বছর বয়সে। আর তার বিকাশ চলতে থাকে মোটামুটি ২০ বছর বয়স পর্যন্ত।

কোনও মেয়ের ঋতু-সূচনাকেই তার যৌনোদ্গমের সূচনা ধরা হয়। তবে তার কয়েক বছর আগে থেকেই তার আভাস মিলতে লাগে। শরীরের ভিতরে ও বাইরে বদল চলতে থাকে।

এই সময়ে মেয়েদের বৃদ্ধি শুরু হয় নানা ভাবে। কিছুটা মাথায় লম্বা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁধ, বুক, নিতম্ব ও জঙ্ঘার মেদবৃদ্ধি শুরু হয়। সেই বৃদ্ধির তুলনায় আবার কোমড় সরু হতে থাকে। শরীর নারীসুলভ রূপ ধারণ করে। যৌনকেশ এই সময়েই প্রস্ফুটিত হতে থাকে।

এ ভাবেই নারী শরীরের বর্ণনা করেছেন ডাক্তার অরুণকুমার মিত্র তাঁর 'কন্যা জায়া ও জননী' শীর্ষক গ্রন্থে। সাধারণের ভাষায় বুঝিয়েছেন কী ভাবে এবং কীসের প্রভাবে নারীর যৌবনোদ্গম হয়। 

বিভিন্ন হরমোনের প্রভাবে যে বৃদ্ধি ও বিকাশ তাকে তিনি দু'ভাগে ভাগ করেছেন—

১। অভ্যন্তর ও বহির্যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ও প্রস্ফুটন
২। নারীসুলভ দৈহিক বিশিষ্টতার প্রকাশ

এ ছাড়াও নারীদেহের অভ্যন্তর যৌনাঙ্গের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল
১। জরায়ু বা ইউটেরাস
২। ডিম্বাশয় বা ওভারি
৩। গর্ভনালী বা ফ্ল্যালোপিয়ান টিউব
মানুষের মস্তিষ্কে পিটুইটারি নামে একটি গ্রন্থি রয়েছে‌। এই গ্রন্থি থেকেই রস ক্ষরিত হয়ে শরীরের অন্যান্য গর্ন্থিকে সক্রিয় করে তোলে। চিকিৎসক অরুণ মিত্র জানিয়েছেন, ''কৈশোরেরে শেষে পিটুইটারির পরিচনালনায় শুরু হয় থাইরয়েড, অ্যাড্‌রেনাল, অগ্ন্যাশয়, ওভারি প্রভৃতি গ্রন্থিগুলির ক্রিয়া। ওভারির অপরিণত ডিম্বকোষগুলি এই সময়ে পরিণত হয়ে ওঠে এবং তার থেকে ইস্ট্রোজেন জরায়ু ও অন্যান্য দেহযন্ত্রের পরিবর্তন ঘটায়।''