খোঁজ মিলল টিটাগড় থেকে নিখোঁজ মা-মেয়ের, গ্রেপ্তার গৃহবধূর প্রেমিক


টিটাগড় নিখোঁজ রহস্যের কিনারা। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে খোঁজ মিলল গিরিডির বাসিন্দা সুমন স্বর্ণকার ও তাঁর মেয়ের। দমদমের একটি হোটেল থেকে দু'জনকেই উদ্ধার করেছে টিটাগড় থানার পুলিশ। অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক যুবক। পুলিশের দাবি, বিহারের দ্বারভাঙার ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল সুমনের। ঘটনার দিন তাঁর মোবাইল থেকেই অ্যাপ ক্যাব বুক করা হয়েছিল।

উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে বাপের বাড়ি সুমন স্বর্ণকারের। শ্বশুরবাড়ি ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে। গত রবিবার শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। খোঁজ মিলছিল না তাঁর কিশোরী মে্য়েরও। টিটাগড়ের বৌবাজার এলাকার থাকেন সুমন স্বর্ণকারের বাবা, মা ও ভাই। তাঁরা জানিয়েছিলেন, ১৬ মে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি এসেছিলেন সুমন। গত রবিবার কলকাতা স্টেশন থেকে কলকাতা-পাটনা লোকালে গিরিডি ফিরে যাওয়ার কথা ওই গৃহবধূর। সেদিন সন্ধ্যায় বিটি রোড থেকে দিদি ও ভাগ্নীকে উবের ক্যাবে তুলে দিয়েছিলেন সুমনের ভাই। কিন্তু, নির্দিষ্ট দিনে মা ও মেয়ে গিরিডি পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন বাপের বাড়ির লোকেরা। মঙ্গলবার টিটাগড় থানায় অপহরণের অভিযোগে এফআইআরও করা হয়।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গত বেশ কয়েক মাস ধরেই স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না সুমন স্বর্ণকারের। বিষয়টি বাপের বাড়িতে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, বাপের বাড়ির লোকেরা স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু তা তো হয়ইনি, উলটে বিহারের দ্বারভাঙার যুবক মায়াঙ্ক মৃণালের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ভিন রাজ্যের ওই বধূ। ক্রমশই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় সুমন ও মৃণাল।

 তদন্তকারীদের দাবি, গত মঙ্গলবার নিজের মোবাইল থেকে সুমন স্বর্ণকার ও তাঁর মেয়ে তানিশার জন্য উবের ক্যাব বুক করেছিলেন ওই গৃহবধূর প্রেমিক। সেই ক্যাবে চেপে টিটাগড়ের বাপের বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সুমন। বাপের বাড়ির লোকেদের বলেন, শ্বশুরবাড়ি গিরিডিতে যাচ্ছেন। খড়গপুরে বেশ কিছুদিন প্রেমিকের সঙ্গে ছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগে শহরে ফেরেন মৃণাল, সুমন ও তাঁর মেয়ে।

টিটাগড় থানার পুলিশ জানিয়েছে, বিমানবন্দরের কাছে হোটেলে মেয়েকে নিয়ে থাকছিলেন সুমন স্বর্ণকার। সাঁতরাগাছির হোটেলে ছিলেন মৃণাল। তাঁর মোবাইল ট্র্যাক করে মা-মেয়ে ও মায়ের প্রেমিকের হদিশ মেলে। অপহরণের অভিযোগে বিহারের বাসিন্দা মায়াঙ্ক মৃণালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে মা ও মেয়েকেও।