মাথায় দেনার পাহাড়, স্ত্রী-কন্যাকে বিক্রির চেষ্টা অটো চালকের


ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন অটো চালকের স্ত্রী।

মেয়েদের পক্ষে ভারত যে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ, সে কথা দিন কয়েক আগেই সমীক্ষায় জানিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। বিপদ শুধু বাড়ির বাইরে, তা নয়। ঘরের মধ্যেও যে বিপদ রয়েছে, তার প্রমাণ দিল অন্ধ্রপ্রদেশের কোয়িলাকুন্টা শহর। দেনা শোধ করার জন্য স্ত্রী এবং নাবালিকা মেয়েকে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠল সেখানকার এক অটো চালকের বিরুদ্ধে।

মাথায় ১৫ লক্ষ টাকার ঋণ। চার মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে কোয়ালাকুন্টায় সংসার ওই অটো চালকের। নাবালিকা বিয়ের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে শিশু সুরক্ষা আধিকারিকরা জানতে পারলেন হাড় হিম করা তথ্য। অটো চালকের স্ত্রীর অভিযোগ, ১২ বছরের কন্য সন্তানকে বিক্রির জন্য ইতিমধ্যেই এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করেছে তাঁর স্বামী। চুক্তিতে বলা হয়েছে, বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনোর পর সেই ব্যক্তির হাতে মেয়েকে তুলে দিতে হবে। তত দিন পর্ষন্ত মেয়েকে রাখতে হবে পুরুষদের চোখের আড়ালে। এ জন্য অটো চালককে দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলেও চুক্তিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ, পাঁচ লক্ষ টাকায় স্ত্রীকেও নিজের এক আত্মীয়ের কাছে বিক্রির চেষ্টা করছে ওই অটো চালক। স্বামীর অভিসন্ধি বুঝতে পেরে ছেলে মেয়েদের নিয়ে একটা সময় স্ত্রী চলে এসেছিলেন নান্দিয়ালে বাপের বাড়িতে। কিন্ত লাভ হয়নি। সেখানে এসেও অটো চালক নাকি জানিয়ে দেয়, ''সন্তানদের নিয়ে আমি কী করব, তা আমার ব্যাপার।''

শিশু সুরক্ষা আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করে অটো চালকের স্ত্রী বলেছেন, তাঁর স্বামী মদ্যপায়ী। দেনা শোধ করার জন্য সে তাদের বিক্রি করতে চায়। ইতিমধ্যেই ওই দম্পতির দুই মেয়েকে উদ্ধার করে শিশু সুরক্ষা দফতরের একটি কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। অভিযোগ, সমস্ত ঘটনা জানার পরেও ওই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হয়নি। বরং আলোচনার মধ্যমে তাদের সমস্যা মিটিয়ে নেওযার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।