‘ভুল শুধরেই ভয়ঙ্কর, মাঠ মাতালেন পাওলিনহো-কুটিনহো’



ব্রাজিল ২  :  সার্বিয়া ০

জার্মানির বিদায়ের দিনেই সার্বিয়াকে চূর্ণ করে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ব্রাজিল। ব্রাজিলীয়দের কাছে এর চেয়ে সুখের দিন আর কী বা হতে পারে।

বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার জন্য সার্বিয়ার বিরুদ্ধে বুধবার ড্র করলেই চলত নেমার দা সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র)-দের। আমি কিন্তু ম্যাচের প্রিভিউতেই লিখেছিলাম, ব্রাজিলীয়রা কখনও ড্রয়ের কথা ভেবে মাঠে নামেন না। আমার অনুমান যে ভুল ছিল না, প্রথমার্ধেই প্রমাণ করলেন পাওলিনহো। ৩৫ মিনিটে ফিলিপে কুটিনহোর অসাধারণ থ্রু ধরে ঠান্ডা মাথায় সার্বিয়া গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন পাওলিনহো। অসাধারণ গোল। কুটিনহো গোল না পেলেও দুর্ধর্ষ খেললেন। ব্রাজিলের আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেন। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ৯১ শতাংশ সঠিক পাস দিয়েছেন কুটিনহো!

রাশিয়া বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে ব্রাজিলকে আরও ভয়ঙ্কর দেখাল। প্রথম দু'টো ম্যাচে ডান দিক থেকে আক্রমণ কম হচ্ছিল তিতের দলের। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে দেখলাম, সেই ভুল অনেকটাই শুধরে নিয়েছে ব্রাজিল। এর জন্য কৃতিত্ব অবশ্যই প্রাপ্য পাওলিনহোর। আমাকে মুগ্ধ করেছে, পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার ধরন বদলে ফেলার দক্ষতা দেখে। গোল শোধ করার জন্য দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ছিলেন সার্বিয়ার ফুটবলাররা। প্রচণ্ড গতিতে আক্রমণে উঠছিলেন নেমানইয়া মাতিচরা। তখনই নেমাররা নিজেদের মধ্যে বেশি পাস খেলতে ম্যাচের গতি কমিয়ে দিলেন। ৬৮ মিনিটে নেমারের কর্নার মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন থিয়াগো সিলভা। খারাপ লাগছে নেমারের জন্য। একাধিক সুযোগ নষ্ট না করলে বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক পেয়ে যেতে পারতেন।

দুরন্ত জয়ের রাতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মার্সেলো ভিয়েরোর চোট। আট মিনিটে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে শেষ ষোলোর ম্যাচে কিন্তু মার্সেলোকে দরকার।