ফ্লিপকার্টের সঙ্গে জালিয়াতি! ১.৫৬ কোটি টাকার ক্ষতি স্বীকার সংস্থার


ভারতের বৃহত্তম ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট। তারাই পড়েছে প্রতারণার চক্করে। ২০১৬-র জানুয়ারি থেকে ২০১৭-র নভেম্বর, মাত্র এই কয়েক মাসেই তারা ১.৫৬ কোটি টাকার প্রতারণার স্বীকার হয়েছে বলে অভিযোগ। এই মর্মে সাইবার ক্রাইম পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ নথিবদ্ধও করেছেন ফ্লিপকার্ট ইন্টারনেট প্রাইভেট লিমিটেডের নোডাল অফিসার মুর্তি এসএন।

ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই সময়কালে একাংশের গ্রাহক ফ্লিপকার্ট থেকে স্মার্টফোন বা ক্যামেরার মতো দামী ইলেকট্রনিক পন্য কিনে পরবর্তীকালে ডেলিভারি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। কেউ দাবি করেছেন ফোনের বদলে তারা পাথর পেয়েছেন, কেউ বা বলেছেন ক্যামেরার জায়গায় হাতে এসেছে মাটির ঢেলা। অনেকে সেসব পাথর বা মাটির ঢেলার ছবিও তুলে পাঠিয়েছেন। বস্তুত ২০১৬-র গোড়ায় এই ধরণের অভিযোগে ভালরকম বিদ্ধ হয়েছিল সংস্থাটি। সংবাদ মাধ্যমেও সেই পাথর বা ঢেলা ডেলিভারির খবর বেরিয়েছিল।

সংস্থার সুনাম বজায় রাখতে প্রথম দিকে ফ্লিপকার্ট বিশেষ যাচাইয়ের মধ্যে না গিয়ে প্রায় মুখের কথাতেই এই সব অভিযোগকারী গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু, ক্রমে এ ধরণের অভিযোগ বাড়তে থাকাতেই সন্দেহ হয় সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের। এরপরই তারা তদন্থ শুরু করেন। দেখা যায় কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকবার করে টাকা রিফান্ড হয়েছে। এতেই প্রতারণার বিষয়টি সংস্থার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়।

সংস্থার মুখপাত্রের দাবি, সংস্থার রিফান্ড পলিসি ই-কমার্স-এর বাজারে সবচেয়ে গ্রাহক-বান্ধব, নির্ঝঞ্ঝাট ও দ্রুত। এতে করে কোটি কোটি গ্রাহক উপকৃত হন। কিন্তু এই নীতিকেই অপব্যবহার করেছে কেউ কেউ। তবে সংস্থা সন্দেহ কেবল গ্রাহকদের একাংশই নয়, এতে সংস্থার আওতায় থাকা কিছু বিক্রতাও জড়িত থাকতে পারেন। তবে পিছনে যেই থাকুক দোষাদের বিরুদ্ধে ফ্লিপকার্ট ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। মুখপাত্র বলেন, 'প্রতারণার ক্ষেত্রে আমাদের সংস্থার জিরো টলারেন্স পলিসি রয়েছে'।