বেতন থেকে ব্যাংক ঋণ! বড়সড় আন্দোলনের পথে কর্মীরা


বর্ধমান: ডেকরেটর সমন্বয় সমিতি সদস্যরা তাঁদের বিভিন্ন দাবিকে সামনে রেখে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে পা বাড়াতে চলেছে৷ তাঁদের দাবি ডেকরেটর পেশাকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়া, ডেকরেটর কর্মীদের বীমার অধীনে নিয়ে আসা, সমস্ত ডেকরেটরদের একটি মূল্য তালিকায় নিয়ে আসা, জিএসটি ও ওয়েবিল বাতিল করা, ডেকরেটরদের সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ প্রদান করা প্রভৃতি৷

বর্ধমান টাউন হলে আয়োজিত এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বর্ধমানের ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহারাজ স্বামী নবব্রতনন্দজী। হাজির ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অরুণ সেনগুপ্তও।

একই সঙ্গে গোটা রাজ্য জুড়েই ডেকরেটরদের ওপর পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে পুলিশি জুলুমের ঘটনায় নবান্নের দ্বারস্থও হতে চলেছেন ডেকরেটর সমন্বয় সমিতি৷ শনিবার থেকে বর্ধমানের টাউন হলে পূর্ব বর্ধমান জেলা ডেকরেটর সমন্বয় সমিতির প্রথম জেলা সম্মেলন শুরু হয়েছে৷ শনিবার এই সম্মেলন শুরুর আগে সংগঠনের রাজ্য কমিটির একটি প্রস্তুতি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়৷

আগামী ২৫ ও ২৬ আগষ্ট নিউ দিঘায় এই সংগঠনের রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে৷ আর রাজ্য সম্মেলনে মূল আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে এই ডেকরেটরদের পণ্য পরিবহণে এবং বিশেষত সামাজিক কাজে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে পুলিশি জুলুম বন্ধের দাবি৷

রবিবার বর্ধমানের এই জেলা সম্মেলনে সংগঠনের রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক গোপাল সরকার জানিয়েছেন, যখন তাঁরা সরকারি কোনও কাজে পণ্য পরিবহন করছেন তখন পুলিশ তাঁদের কিছু বলছেন না। কিন্তু যখনই তাঁরা সামাজিক কাজে পণ্য পরিবহন করছেন তখনই পুলিশ জুলুম চালাচ্ছে তাঁদের ওপর। এটা বন্ধের বিষয়ে তাঁরা নবান্নের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। আগামী রাজ্য কমিটির বৈঠক থেকেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলা ডেকরেটর সমন্বয় সমিতির যুগ্ম সম্পাদক তাপস অধিকারী জানিয়েছেন, এই দাবিগুলির পাশাপাশি ডেকরেটরদের অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে আইনের সরলীকরণ এবং ঠিকাদারকে বাদ দিয়ে সরাসরি ডেকরেটরদের কাজের বরাত দেওয়ার দাবি নিয়েও এই সম্মেলনে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সরকারি যে কোনো কাজ এবং আপদকালীন জরুরী কাজের ক্ষেত্রে তাঁরা সবরকমের সহায়তা করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন কোনো ঠিকাদারের মাধ্যমে নয়, সরকারি এই সমস্ত কাজে সরাসরি বরাত দেওয়া হোক ডেকরেটরদেরই।