3D-তে ‘সমুদ্র মন্থন’, মায়াপুরে তৈরি হল অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহ


তেহট্ট : স্যাভি প্রজন্মকে আধ্যাত্মিকতায় ফেরাতে অভিনব উদ্যোগ নিল মায়াপুরের ইস্কন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে থ্রিডি অ্যানিমেশনে আধ্যাত্মিক ছবি দেখাচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেজন্য ইতিমধ্যেই মায়াপুরে তৈরি হয়েছে উন্নতমানের ৩৬০ ডিগ্রির ডোম থিয়েটার। যেখানে চলছে আধ্যাত্মিক শর্ট ফিল্ম। সকাল থেকে রাত মোট আটটি শোয়ে দেখানো হচ্ছে ফিল্ম। মূল বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় যে অবক্ষয়ের সূচনা হয়েছে তা রুখতেই এই ফিল্ম শোয়ের উদ্যোগ। এমনটাই জানিয়েছেন এই প্রজেক্টের ডিরেক্টর শ্রীধর কালিদাই।

জানা গিয়েছে, প্রায় দু'কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই ডোম থিয়েটারে একসঙ্গে ১০৮ জন ছবি দেখার সুযোগ পাবেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গোটা প্রেক্ষাগৃহের যেকোনও আসনে বসেই উপভোগ্য হবে সেই ছবি। মায়াপুর ফুল ডোম থিয়েটারের স্ক্রিন তৈরিতে কাজ করেছে আটটি প্রজেক্টরের ফাইবার কার্টিং-এজ টেকনোলজি। ডিম্বাকৃতি প্রেক্ষাগৃহে ঢুকলেই মনে হবে যেন অন্য জগতে চলে এসেছেন। চেয়ারে বসে উচ্চমানের ছবি ও সাউন্ড সিস্টেম দর্শককে আলাদা অনুভূতি এনে দেবে। আগে বসলেই ভালভাবে দেখতে পাব, এমন পন্থা এখানে কোনও কাজে আসবে না। ডিম্বাকৃতি প্রেক্ষাগৃহের যে আসনেই বসুন না কেন ছবির দৃশ্যপট যেন আপনার দিকে তাকিয়েই এগিয়ে চলেছে।

এই প্রসঙ্গে ইস্কনের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রমেশ মহারাজ জানান, 'সমুদ্র মন্থন' নামের একটি শর্ট ফিল্ম এখন দেখানো হচ্ছে। মূলত মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক চেতনার উন্মেষ ঘটাতেই এই পরিবেশনা। ভগবান নৃসিংহ দেবের আবির্ভাবের দিন ২৯ এপ্রিল ৩৬০ ডিগ্রি এই ডোম থিয়েটারের সূচনা হয়। 'চিন্ময়ত্বের নয়টি ধাপ' নামে ২০ মিনিটের আরও একটি শর্ট ফিল্ম চলছে প্রেক্ষাগৃহে। দর্শক যে কোনওটিই চাইলে দেখতে পারেন। ৬০ টাকা টিকিটের মূ্ল্য ধার্য হয়েছে। সবে শুরু হয়েছে বলে শুধু দুটি ফিল্মই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখানো হচ্ছে। পরে ছবির সংখ্যা বাড়বে।

ডিরেক্টর শ্রীধর কালিদাই জানান, রাজ্যে প্রথম এই ৩৬০ ডিগ্রি ডোম থিয়েটার এই প্রথম। সূচনা হলেও ডোমের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তাইওয়ান থেকে আসা আটটি প্রজেক্টরে হাই রেসোলিউশনে ফিল্ম দেখানো হচ্ছে। রাশিয়া, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, ইউক্রেন, জার্মানি ও ভারত-সহ আটটি দেশের থ্রিডি অ্যানিমেশন বিশেষজ্ঞরা এই শর্ট ফিল্ম তৈরিতে কাজ করেছেন। খুব শিগগির জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এই ডোম থিয়েটার। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।