জন্মদিনের আগেই মেয়েকে নৃশংস শাস্তি বাবার


শুক্রবার সকালে চন্দ্রিকার বাবা তাঁকে একজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেখেন। পরে তিনি জানতে পারেন যে চন্দ্রিকা এক যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলছে।


ইচ্ছা ছিল পরিবারের সঙ্গে জন্মদিনের সময় কাটাবে। কিন্তু তা করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন তরুণী। বাড়িতেই কুড়ুলের কোপে প্রাণ হারাতে হল তাঁকে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা টি চন্দ্রিকা কয়েকদিনের জন্য বাড়িতে আসেন। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন পরেই জন্মদিন ছিল টি চন্দ্রিকার। তাই জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। একটি প্রাইভেট কলেজের হস্টেলে থেকে পড়াশুনা করতেন চন্দ্রিকা।

শুক্রবার সকালে চন্দ্রিকার বাবা তাঁকে একজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেখেন। পরে তিনি জানতে পারেন যে চন্দ্রিকা এক যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলছে। চন্দ্রিকাও তাঁকে জানায়, ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করতে চান।
অভিযোগ, এর পরেই চন্দ্রিকার বাবা ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন। চন্দ্রিকার হাত থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে দেন তিনি। এর পরেই তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বাবা-মেয়ে। অভিযোগ, বচসার সময় হাতের কাছে থাকা একটি কুঠার নিয়ে মেয়ের উপর চড়াও হয় বাবা। এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে চন্দ্রিকাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
চন্দ্রিকার মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ চন্দ্রিকার বাবাকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, চন্দ্রিকার বাবার আশঙ্কা ছিল মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করলে পরিবারের সম্মান চলে যাবে। তাই জন্য রাগের মাথায় নিজের মেয়েকে কুপিয়ে খুন করে দেন তিনি।