ফের নাবালিকাকে গণধর্ষণ মধ্যপ্রদেশে, অভিযুক্ত আত্মীয়রা


ফের গণধর্ষণের শিকার হল এক নাবালিকা। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ডে। নির্যাতিতার বয়স ১৪ বছর। তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ১৫ দিনে এই নিয়ে পাঁচটি নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে।

ঘটনাটি ঘটে দিন দুয়েক আগে। কিন্তু শনিবার রাতে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বুন্দেলখণ্ডের ছত্তরপুর জেলার খাজুরাহো থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ওই নাবালিকা নিজের ঘরেই ঘুমোচ্ছিল। মাঝরাতে তাকে ঘুম থেকে তুলে টেনে হিঁচড়ে ছাদে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তারপর ছাদেই তাকে গণধর্ষণ করে। সবচেয়ে অদ্ভূত ব্যাপার, অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই ওই নাবালিকার আত্মীয়। প্রত্যেকেই নির্যাতিতার বাড়ির আশপাশে থাকত। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন নাবালক রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

খাজুরাহো থানার ইনচার্জ প্রশান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া পকসো আইনে কয়েকটি ধারায়ও দায়ের হয়েছে মামলা। অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওই নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আপাতত সে সুস্থ রয়েছে। ছত্তরপুর জেলা হাসপাতালে তাকে ভরতি করা হয়েছে।

গোটা দেশে ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। গত ১৫ দিনে মধ্যপ্রদেশে এই নিয়ে পনেরো জন নাবালিকা ধর্ষিত হল। গত মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার তেজপুর গ্রামে একটি নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তারও বয়স ছিল ১৪ বছর। মান্দাসৌরে দু'জন তাকে ধর্ষণ করে। ১ জুলাই সাতনায় এক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। ২৮ জুন জব্বলপুরে গণধর্ষণের শিকার হন ১৫ বছরের এক নাবালিকা।

মান্দাসৌরে শিশু ধর্ষণের ঘটনার পর ফুঁসছে গোটা দেশ। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি উঠছে সর্বত্র। এমন পরিস্থিতিতে একের পর এক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ফের শাসনব্যবস্থার উপর প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল।