খাতায় কলমে ‘বিবাহিত’, কন্যাশ্রীর টাকা না পেয়ে বিপাকে কলেজ ছাত্রী


হুগলি: বিয়ের কোনও পরিকল্পনা নেই। বরং মেয়েকে পড়াশোনা শেখাতে চান বাবা-মা। কিন্তু, কলেজ ছাত্রীটি  নাকি বিবাহিত! তাই কন্যাশ্রী প্রকল্পের সরকারি অনুদান পাচ্ছেন না তিনি। স্রেফ টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ঝুমা মালিকের।

হুগলির চুঁচুড়ার দেবানন্দপুরের বাসিন্দা নিমাই মালিক। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন একমাত্র ঝুমা। কলেজে ভরতিও হয়েছেন। পেশায় দিনমজুর নিমাইবাবু চান, পড়াশোনা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হোক মেয়ে। কিন্তু বেশিদূর পড়ানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই তাঁর। নিমাই মালিকের অভিযোগ, গত বছর স্কুল থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফর্ম তুলতে গিয়েছিলেন ঝুমা। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই ছাত্রী বিবাহিত। তাই কন্যাশ্রী প্রকল্পের অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তাঁর দাবি, ঝুমার যে বিয়ে হয়নি, তা লিখিতভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। তাঁদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের ওয়েবসাইটে তথ্য দেখায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওয়েবসাইটে ওই ছাত্রীর ম্যারিটাল স্টেটাস ম্যারেড! অবিবাহিত মেয়ে কী করে বিবাহিত হয়ে গেল! বুঝে উঠতে পারছেন না ঝুমা মালিকের বাড়ির লোকেরা।

কন্যাশ্রী প্রকল্পের অনুদান পাওয়ার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন নিমাই মালিক। কিন্তু, এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে মেয়ের পড়াশোনার খরচ কীভাবে চলবে, তা ভেবেই পাচ্ছেন না নিমাইবাবু। তাঁর আশঙ্কা, টাকার অভাবে হয়ত ঝুমার পড়াশোনাই বন্ধ হয়ে যাবে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার অবশ্য জানিয়েছেন, কন্যাশ্রীর টাকা থেকে কেউ বঞ্চিত হবে না। অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। যত দ্রুত সম্ভব, সমস্যার সমাধান করা হবে।



Highlights

চুঁচুড়া দেবানন্দপুরের বাসিন্দা ঝুমা মালিক।

কন্যাশ্রী প্রকল্পের আবেদন ফর্ম তুলতে গিয়ে খালি হতে ফিরতে হয় তাঁকে।

সরকারি ওয়েবসাইটে তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস ম্যারেড!