অমিত শাহের পরে আসছেন নরেন্দ্র মোদী, এ বার মেদিনীপুরে


বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের পরে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।। শাহ এসেছিলেন পুরুলিয়ায়। মোদী আসছেন মেদিনীপুরে। জঙ্গলমহল সন্নিহিত অঞ্চলে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি যে বিশেষ নজর দিচ্ছে, তার ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হচ্ছে।

ধান-সহ ১৪টি খারিফ শস্যের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদীর মন্ত্রিসভা। তার জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানাতে ১৬ জুলাই মেদিনীপুরে সভা করবে বিজেপি। সেখানে উপস্থিত হয়ে 'অভিনন্দন' গ্রহণ করার কথা মোদীর। বিজেপি সূত্রের মতে, ওই সভার মধ্য দিয়ে মোদীর 'কৃষকবন্ধু' ভাবমূর্তি প্রচারের পাশাপাশি এ রাজ্যে তৃণমূল সরকারের উপরে চাপ তৈরি করা যাবে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষক আত্মহত্যা এবং কৃষক আন্দোলনের জেরে লোকসভা ভোটের বছরখানেক আগে ফসলের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। লোকসভা ভোটে এর ফায়দা তুলতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই প্রধামন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে মেদিনীপুরকে ওই কর্মসূচির জন্য বেছে নেওয়ার পিছনে অবশ্য অন্য রাজনৈতিক কৌশলও রয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের ব্যাখ্যা।

পুরুলিয়ায় তিন বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর পরে সেখানে গিয়ে সভা করেছেন শাহ। নিহত এবং আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের পরিজনদের দিল্লির রাজঘাটে নিয়ে গিয়ে ধর্না কর্মসূচিও হয়েছে। এখন মোদী মেদিনীপুরে জনসভা করে কৃষির পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, বিজেপি কর্মী 'খুন', গণতন্ত্রের প্রশ্নে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করলে দলের পালে হাওয়া আরও বাড়বে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। পঞ্চায়েত ভোটে জঙ্গলমহলে ভাল ফল করেছে বিজেপি। মেদিনীপুরকে কেন্দ্র করে মোদীর সভা জঙ্গলমহলে আরও প্রভাব ফেলতে পারবে বলে বিজেপি নেতৃত্বের আশা।

মোদী এ রাজ্যে আগামী ১৩ জুলাই সভা করতে চান বলে শুক্রবার রাজ্য বিজেপির কাছে বার্তা আসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে। প্রস্তুতির জন্য আরও তিন দিন সময় নিয়ে ১৬ তারিখ সভার কথা বলেন রাজ্য নেতৃত্ব। মেদিনীপুর জায়গাটিও বেছেছেন রাজ্য নেতৃত্বই। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ''মেদিনীপুর শস্যশ্যামল জায়গা। তাই প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য ওটা বাছা হয়েছে। হুগলি, হাওড়া-সহ অন্যান্য ভাল ফসলের জেলা থেকেও কর্মীরা ওই সভায় যাবেন।''