বন্ধুত্ব ও যৌনতা নিয়ে জার্মানদের ভাবনা কী?


এক তৃতীয়াংশ জার্মান 'ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিটস' বা বন্ধুত্বের পাশাপাশি 'বাড়তি' কিছু পাওয়াটাকে খারাপ মনে করেন না। বিশ্ব বন্ধু দিবস উপলক্ষ্যে 'ইউগভ' এর নতুন জরিপ তাই বলছে।আগামী ৩০ জুলাই বিশ্ব বন্ধু দিবস। এই দিবসকে সামনে রেখেই ঐ জরিপে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পুরুষ এবং নারী কি সত্যিই ভালো বন্ধু হতে পারে? 'ইউগভ' এর জরিপ অনুযায়ী, ৭৩ ভাগ জার্মান এক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব জানিয়েছেন। ২ হাজার ৪৫ জন এই জরিপে অংশ নিয়েছিলেন। এদের অর্ধেক মনে করেন, প্রেম ভেঙে যাওয়ার পরও সেই ছেলে বা মেয়েটির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকতেই পারে। বৃহস্পতিবার এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এক তৃতীয়াংশ জার্মান মনে করেন, বন্ধুত্বের পাশাপাশি 'বাড়তি কিছু সুবিধা' পাওয়া গেলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই।

এক্ষেত্রে তাঁরা বন্ধুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছেন এবং সেক্ষেত্রে সেটা বন্ধুত্বই, প্রেম নয়। কাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী ইয়ানোস শোবিন জানালেন, ''সাধারণ মানুষের মধ্যে 'ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিটস' বিষয়টা দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে।'' ৬৯ শতাংশ জার্মান মনে করেন, বন্ধুত্ব একসময় প্রণয়ে রূপ নিতে পারে। জার্মানদের মধ্যে কি 'প্রাণের বন্ধু' আছে? জরিপে দেখা গেছে, মাত্র দুই তৃতীয়াংশ জার্মানের মধ্যে অন্তত একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু রয়েছে।

পাঁচ বছর আগের একই ধরণের জরিপে অবশ্য সংখ্যাটা আরও কম ছিল। গত কয়েকবছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা বন্ধু তৈরির প্রবণতা বেড়ে গেলেও ৭৪ ভাগ জার্মান মনে করেন, 'অফলাইনের' বন্ধুই দীর্ঘস্থায়ী হয়। এমনকি প্রতি পাঁচজনের একজন জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের এমন প্রচুর বন্ধু রয়েছে, যাদের সঙ্গে কখনো দেখাই হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ''যাদের ইন্টারনেটে প্রচুর বন্ধু রয়েছে, দেখা যায় তাদের বয়স অল্প এবং তারা বিভিন্ন ধরণের গেম খেলে এবং এর মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়।

'' ডার্কো ইয়ানইয়েভিচ/এপিবি (ডিপিএ)