দুর্নীতির দায়ে ১০ বছর জেল নওয়াজের, কন্যার ৭ বছর


দুর্নীতির দায়ে ১০ বছরের জেল হল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের। আর তাঁর কন্যা মরিয়ম শরিফকে দেওয়া হল ৭ বছরের কারাদণ্ড।

দুর্নীতির যে চারটি মামলা রয়েছে শরিফের বিরুদ্ধে, তার একটির রায়ে এই সাজা পেলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। অভিযোগ ছিল, লন্ডনের অভিজাত অ্যাভেনফিল্ড হাউসে যে চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে নওয়াজ শরিফের নামে, তাদের দাম তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন।

এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন শরিফের জামাতা পাক সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সফদার এবং শরিফের দুই পুত্র হাসান ও হুসেন। 

শরিফ ও তাঁর কন্যা মরিয়ম এখন লন্ডনে। তাঁরা যাতে দেশে ফিরে আদালতে দাঁড়িয়েই এই মামলার রায় শুনতে পারেন, তার জন্য রায়দান এক সপ্তাহ পিছনোর আর্জি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। আর্জিতে শরিফ জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী কুলসুম নওয়াজ গুরুতর অসুস্থ হয়ে লন্ডনে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাই তাঁদের দেশে ফিরে রায় শোনার জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক। কিন্তু তাঁর সেই আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দেয় পাক আদালত।

গলার ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য বছরখানেক আগে লন্ডনে যান শরিফের স্ত্রী কুলসুম। সেখানে তাঁকে দেখার জন্য নওয়াজ ও তাঁর কন্যা গত এক বছরে বেশ কয়েক বার গিয়েছেন লন্ডনে। ফিরে এসে এই মামলার ১০০টি শুনানিতে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন শরিফ ও তাঁর কন্যা।

চলতি বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার ঐতিহাসিক রায়ে জানায়, আর কোনও দিন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এমনকী, পাক পার্লামেন্টের সদস্য হওয়ার জন্য আর দাঁড়াতে পারবেন না নির্বাচনেও।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে ওই রায় একটি নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করে।

আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মালিকানার দায়ে গত জুলাইয়ে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতের রায়ে বরখাস্ত হওয়ার পর ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তদানীন্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। কিন্তু সেই সময় যেটা স্পষ্ট হয়নি, তা হল- কত দিনের জন্য বরখাস্ত হতে হল ৬৭ বছর বয়সী শরিফকে। তা কি সাময়িক নাকি সারা জীবনের জন্য?

পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ে সেই ধোঁয়াশা কেটে যায়।