বাংলায় কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা নেই, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর


নানা কারণে গোটা দেশে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। মহারাষ্ট্র-রাজস্থানের মতো রাজ্যে ঘটছে এরকম ঘটনা। তবে রাজ্যে কোনও কৃষক আত্মহত্যা করেননি বলেই শুক্রবার বিধানসভায় দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভাব ও অন্যান্য কারণে দেশে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু একজন চাষীও এই রাজ্যে আত্মহত্যা করেননি। এদিন কৃষকদের দুরবস্থা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। বলেন, কেন্দ্র শুধু বড় বড় কথা বলে আর সব ভুল তথ্য দেয়। বিমা যোজনা আছে। কিন্তু যখন ধান নষ্ট হয় রাজ্য দেয় ৬০%। কেন্দ্র দেয় ৪০%। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এখন একটা কাগজ দেখলাম, যদি কৃষক বিমার টাকার জন্য আবেদন করেন, সেই ফর্মে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া থাকে। আবার বলছে আধারকার্ড চাই। এ তো বাজনার চেয়ে খাজনা বেশি।" আধারের সুরক্ষা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, "আধার কার্ডে কি জঙ্গি আটকানো যায়? এই তো দেখলেন শিলিগুড়িতে দু'জন ধরা পড়েছে। ওরা তো আমাদের সঙ্গে ডেটা শেয়ার করে না, পুলিশকে কোনও তথ্যই দেয় না। আমি কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছি। টাকা পেতে ব্যাংকে ছুটতে জুতোর শুকতলা হয়ে যাচ্ছে। আবার বলছে কুড়ি-পঁচিশ হাজার টাকা দেবে। এতে কিছু হয়! এমন শর্ত চাপাচ্ছে যাতে টাকা পাওয়া যাবে না।" কৃষকদের বিমা দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন ফর্ম করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া আছে। সেখানে টাকা দেয় রাজ্যও। তারপরও কেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া ফর্মে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
  
কৃষকদের স্বার্থে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমরা ৩০ লাখ কৃষককে পুরো ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। তাঁদের কম দামে বিদ্যুৎ দিয়েছি। হিমঘর ও কৃষক বাজার বানিয়ে দিয়েছি। কৃষিরত্ন দেওয়া হয়। চাষের জমি মিউটেশন কর মকুব হয়েছে।" সারা দেশের এই মডেল ফলো করা উচিত বলেই মনে করেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন রেশন কার্ড নিয়ে কোনও দুর্নীতি নেই। যদি কেউ কার্ড না পান কোনও অফিসার গাফিলতি করেন তাহলে অভিযোগ করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, কাজ করতে হবে। গরিব মানুষ বঞ্চিত হোক তা কখনওই তাঁর কাম্য নয় বলে জানান তিনি।

Highlights

দেশে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে।

তবে রাজ্যে কোনও কৃষক আত্মহত্যা করেননি।

বিধানসভায় দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।