দিল্লিকে চরম হুঁশিয়ারি মেহবুবার, উস্কে দিলেন '৮৭ সালের প্রসঙ্গ


কিছুদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মেহবুবা মুফতি। কাশ্মীরে বিজেপির সঙ্গে মেহবুবার পিডিপি-র মতবিরোধ তুঙ্গে থাকায় , জোট ছেড়ে বেড়িয়ে যায় গেরুয়া শিবির। ফলে স্বভাবতই রাজনৈতিক ভোট অঙ্কের বিচারে মসনদ ছাড়তে হয় মেহবুবাকে। এরপর , এদিন ফের একবার বিজেপি ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তোপ দাগেন তিনি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে মেহবুবা মুফতি জানান, পিডিপি-কে ভাঙার জন্য দিল্লির উদ্যোগ শুধুমাত্র ইয়াসিন মালিক বা সাইদ সালাহউদ্দিনের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্ম দিতে পারে। এই ধরনের উদ্যোগ দিল্লি নিলে, তা ১৯৮৭ সালের মতো পরিস্থিতি আবার তৈরি করবে। উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লা সরকার আসবার পর অভিযোগ ওঠে রিগিং এর। এরপরই রাতারাতি এক অপ্রীতিকর ঘটনায় ঘরছাড়া হতে হয় কয়েক হাজার কাশ্মীরী পণ্ডিতকে। যে ঘটনা ভারতীয় ইতিহাসে অন্যতম উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ঘটনা।

উল্লেখ্য, নিজের বক্তব্যে একবারও বিজেপি-র নাম করেননি পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তবে গেরুয়া শিবিরকে নিশনায় রেখে যে তিনি নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন তা বলা বাহুল্য। শোনা যাচ্ছিল, বহুদিন ধরে পিডিপি-র সাদাল লোনকে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্র হওয়ার টোপ দিচ্ছে বিজেপি। তার প্রেক্ষিতেই এদিন মেহবুবা মুফতির এই বক্তব্য উঠে আসে বলে খবর। উল্লেখ্য, সরকার ছেড়ে বিজেপি বেড়িয়ে যাওয়ার পর, জম্মু ও কাশ্মীরে বর্তমানে রাজ্যপালের শাসন জারি রয়েছে।