কর্ণাটকের দূর্গে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার টিপু সুলতানের আমলের ১০০০ ‘রকেট’


কর্ণাটকে একটি ভগ্নপ্রায় দূর্গের ভেতরে একটি কুঁয়ো আকৃতি জায়গা থেকে বেরিয়ে পড়ল শয়ে শয়ে 'রকেট'। ওইসব 'ওয়ার রকেট' টিপ সুলতানের আমলেরই বলে মনে করা হচ্ছে।

শনিবার কর্ণাটকের বিদানুরু দূর্গের একটি কুঁয়ো থেকে উদ্ধার হয় সন্দেহজনক কিছু জিনিস। ওইসময় ওই ১৮ শতকের দূর্গের ভেতরে খননকা‌র্য চলছিল। পুরাতত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই কুঁয়ো খুঁড়ে ১০০০ রকেট উদ্ধার হয়েছে। ওইসব রকেট টিপু সুলতানের সময়ে ‌যুদ্ধের জন্য মজুত করা হয়েছিল। বেঙ্গালুরু থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত ওই দুর্গটি।

২০০২ সালেও ওই এলাকায় ১৬০টি রকেট উদ্ধার হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুরাতত্ব বিভাগ। প্রথমে বোঝা না গেলেও বহু গবেষণা করার পর ২০০৭ সালে বোঝা ‌যায় উদ্ধার হওয়া বস্তুগুলি আসলে রকেট। এবং তা টিপুর আমলে। তখনই মনে করা হয় দূর্গ চত্বরে আরও রকেট লুকানো রয়েছে।

পুরাতত্ব বিভাগের আধিকারিক আর সেজেশ্বর নায়ক জানিয়েছেন, কুঁয়োটি খোঁড়ার পরই সেখানকার কাদা থেকে বারুদের মতো গন্ধ আসতে থাকে। তখনও আরও খোঁড়া হয় ও ওইসব রকেট বেরিয়ে পড়ে। প্রত্যেকটি রকেটের মধ্যে রয়েছে পটাসিয়াম নাইট্রেট, চারকোল ও ম্যাগনেসিয়াম পাউডার। ওপরের খোল লোহার। ওইসব রকেটগুলিকে হাতে ও বন্দুকের সাহা‌য্যে ছোঁড়া ‌যেত।

গত বুধবার থেকে ওই দূর্গে খোঁড়াখুড়ির কাজ শুরু হয়। কাজ করছিল ১৫ সদস্যের একটি দল। ‌যেসব রকেট পাওয়া গিয়েছে সেগুলির সবকটির আকার এক নয়। কোনওটি ২৩২৬ সেমি, কোনওটি আবার ১২১৪ ইঞ্চির। মাটির নীচে ওই কুঁয়োতে তা লুকিয়ে রাখা ছিল। জানিয়েছেন নায়েক।

নায়েক আরও বলেন, ওইসব রকেটগুলি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তা টিপু সুলতানের আমলের টেকনোলজিতে তৈরি। উল্লেখ্য, ১৭৫০৯৯ প‌র্যন্ত টিপুর আমলে তাঁর সেনাবাহিনীতে ব্যবহার করা হত সেই আমলের আধুনিক রকেট। ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে লড়াই করার জন্য তা ব্যবহার করা হতো।