দেড় লক্ষের বেশি লোক হয়নি মমতার সভায়: মুকুল


বালুরঘাট: ২১ জুলাই-এর জন সমাবেশে উপস্থিত লোক সংখ্যা মাত্র দেড় লক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর দল যাই দাবি করুন না কেন আসলে সেখানে দেড় লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছে বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

মমতা ব্রিগেডের এক সময়কার সেনাপতি মুকুল রায় শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে রীতিমত সংখ্যাতত্ব দিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন। এদিন গুলমোহরের আয়োজিত বিজেপি-তে যোগদান কর্মসূচি নামক সভায় কংগ্রেস তৃণমূল আরএসপি ও সিপিআইএম থেকে বহু নেতা ও জনপ্রতিনিধি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে স্বাগত জানাতে মুকুল রায় ছাড়াও উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গী।
 
২১ জুলাইয়ের জন সমাবেশের সংখ্যা নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে মুকুল রায় জানিয়েছেন, এসপ্ল্যানেডে যেখানে সভাটি হয়েছে। সেখানে জরিনা ক্রসিং থেকে ভিক্টরিয়া পর্যন্ত দৈর্ঘ হল ছয়শো মিটার অর্থাৎ ১৯৬৮ ফিট। সেই রাস্তাটির চওড়া হলো ৮৫ মিটার অর্থাৎ ২৭৮ ফিট। যার আয়তন পাঁচ লক্ষ চুয়াত্তর হাজার ১০৪ স্কোয়ার ফিট। সেই স্থানে যদি একটি মানুষকে দাঁড়াতে বা বসতে হয়ে তাহলে তাঁর জায়গা লাগবে চার স্কোয়ার ফিট। তাহলে সর্ব সাকুল্যে সেখানে এক লক্ষ ছত্রিশ হাজার মানুষও দাঁড়াতে বা বসতে পারবে না। মোবাইলের ক্যালকুলেটরে হিসেব কষে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।

সেই সঙ্গে এদিনের কর্মসূচিতে মুকুল রায় একথাও বলেন, ''আগামী দিনে বাংলায় গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না সেই লড়াই ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। গুজরাট হিমাচল প্রদেশ ও কর্ণাটকে ভোট হয়ে গেল সেখানে একজনেরও মৃত্যু হয়নি। অথচ এই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৭২ জন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে৷''

এ দিন গুলমোহরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের লড়াকু নেতা বলে সুপরিচিত কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়, সিপিআইএম-এর নেতা তথা প্রাক্তন প্রধান নিরোদ দাস কানু পান্ডে সহ বহু নেতা। পাশাপাশি তৃণমূল ও আরএসপি দলেরই বহু নেতাকর্মী এদিন পদ্মের পতাকা হাতে নিয়ে বিজেপির জয় গান গেয়েছেন।