ধর্ষণে অভিযুক্তদের কোনওরকম সরকারি সুবিধা নয়


ক্রমাগত বাড়তে থাকা নারী নির্যাতন রুখতে এবার সচেষ্ট হল হরিয়ানা সরকার।  এখন থেকে সে রাজ্যে ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্তদের কোনওরকম সরকারি সুবিধা দেওয়া হবে না। রেশন থেকে শুরু করে পেনশন, সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়া হবে।

দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই নারী নিগ্রহের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। এই তালিকায় একেবারে উপরের সারিতে রয়েছে খাট্টারের হরিয়ানা। সাধারণ আইনেই সে অভিযোগের সুরাহা হয়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি আইনি প্রক্রিয়ায় বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায় অভিযুক্তরা। নিজের রাজ্যে এই পরিস্থিতি বদলাতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করলেন মনোহরলাল খাট্টার। বৃহষ্পতিবার তিনি ঘোষণা করেন, এবার থেকে হরিয়ানায় ধর্ষণ কিংবা শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্তদের কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে না। রেশন, পেনশন হোক কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স, যার নামে অভিযোগ উঠছে, সে কিছুই পাবে না। যতদিন না আদালত তাকে নির্দোষ প্রমাণ করে, ততদিন এই শাস্তি বজায় থাকবে।

ধর্ষকদের শায়েস্তা করার পাশাপাশি মহিলাদের জন্যও বেশ কিছু সুবিধা আনতে চলেছে হরিয়ানা সরকার। যদি কোনও ধর্ষিতা আদালতে লড়তে চান, তবে সরকারী আইনজীবী তো পাচ্ছেনই। পাশাপাশি তিনি অন্য উকিলও রাখতে পারেন। এবং সরকারের তরফ থেকেই তাঁকে সেই ব্যাপারে আর্থিক সহায়তা করা হবে বলে ঘোষণা খাট্টার সরকারের। এছাড়া অনন্তকাল ধরে ধর্ষণের তদন্ত চলতে পারে না। এক মাসের মধ্যে তা শেষ করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইভটিজিংয়ের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে ১৫ দিন। যে সমস্ত জেলায় ৫০টিরও বেশি ধর্ষণ বা শ্লীলবতাহানির মামলা রয়েছে, সেখানে ছটি ফাস্ট-ট্র্যাক আদালত খোলা হবে বলেও জানিয়েছে হরিয়ানা সরকার। হরিয়ানার এই মডেল অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রেও অনুকরণীয় হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।