মোদীর ফিটনেস ভিডিও শুটে খরচ ৩৫ লাখ! তারুর-রাজ্যবর্ধন টুইট-যুদ্ধ



নরেন্দ্র মোদীর ফিটনেস ভিডিও ও ছবি তুলতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের খরচ হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা! পিএমও-র তরফে সরকারি ভাবে বিষয়টি স্বীকার না করলেও এই নিয়ে টুইটারে রীতিমতো তরজায় জড়ালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর এবং কেন্দ্রীয় তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর। প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি উড়িয়ে রাজ্যবর্ধন বলেছেন, এই ভিডিওর জন্য এক টাকাও খরচ করেনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর।

মোদীর ফিটনেস ভিডিও এবং ছবি তোলার খরচ নিয়ে টুইটারে চর্চা চলছিলই। সোমবার তাতে যোগ দেন প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। শশী তারুর দাবি করেন, মোদীর ফিটনেসের ভিডিও শুট করতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের খরচ হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। আর যোগা ডে-র প্রচারে আয়ূষ মন্ত্রক খরচ করেছে ২০ কোটি টাকা।

এর সঙ্গেই প্রাক্তন মন্ত্রীর সংযোজন, ''এই সরকার ভুল তথ্য দিয়ে সত্যকে চাপা দিচ্ছে। সমস্ত আশা শেষ করে দিয়েছে।'' এই টুইটের পরই তাতে প্রচুর রিটুইট, রিঅ্যাক্ট, কমেন্টস শুরু হয়। পাল্টা টুইটে কেউ তারুরের পক্ষে দাঁড়িয়ে, কেউ কেন্দ্রের সমালোচনায় নেমে পড়েন, কেউ বা বিপক্ষে মত দেন। শশী তারুরের সমালোচনাও করেন অনেকে।



তবে সরকারি ভাবে তারুরের টুইটের জবাব দিতে আসরে নামেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। তারুরকে পাল্টা আক্রমণ করে রাজ্যবর্ধন যা লিখেছেন তার মূল কথা, প্রধানমন্ত্রীর ফিটনেস ভিডিওর জন্য এক টাকাও খরচ করা হয়নি। পিএমও-র ভিডিওগ্রাফারই এটা শুট করেছেন।



তবে তাতেও বিতর্ক থেমে থাকেনি। এই টুইটেরও পাল্টা টুইট এবং পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য আছড়ে পড়ে। শশী তারুরও জবাবে লেখেন, ''প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও শুটের জন্য এক টাকাও খরচ হয়নি জেনে খুশি হলাম।'' তবে যোগ-দিবসের প্রচারে ২০ কোটি টাকা খরচ নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলেন তারুর।



গত মাসের শেষের দিকেই বিরাট কোহালির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নিজের বাসভবনে মোদীর যোগাসনের ভিডিও ফুটেজ ও ছবি প্রকাশ করা হয় প্রধানমন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডেলে। তার পরই সেই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভিডিও ও ছবি তোলার খরচ নিয়েই শুরু হয়েছে তরজা।