চোর অপবাদ শাশুড়ির, অপমানে আত্মঘাতী যুবক


সুরজিৎ ও পিয়ালি
     
কলকাতা : বিয়ের পর থেকেই চলত মানসিক অত্যাচার। এবার চোর অপবাদ। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা জামাইয়ের। বেলেঘাটা এলাকার চাউলপট্টির ঘটনা। ঘটনায় শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করল বেলেঘাটা থানার পুলিশ। আজ তাকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হবে।

পেশায় অটোচালক ছিলেন সুরজিৎ সাউ। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে পিয়ালির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি জামাইকে মানসিক অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। গতকাল রাতে নিজের তিন হাজার টাকা খুঁজে না পাওয়ায় জামাইকে দোষারোপ করে শাশুড়ি সন্ধ্যারানি দণ্ডপাত। চুরির অপবাদ দেওয়া হয়। এতে অপমানিত হয়ে শ্বশুরবাড়িতেই আত্মহত্যা করেন সুরজিৎ। আজ তাঁর শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে বেলেঘাটা থানার পুলিশ।

বিয়ের পর স্ত্রী পিয়ালিকে নিয়ে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন সুরজিৎ। আর্থিক অনটনের জন্য ভাড়াবাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকার কথা ভাবছিলেন। সেই মতো গোছানো চলছিল। সেখানে ছিলেন শাশুড়ি সন্ধ্যারানি দণ্ডপাতও। 

সুরজিতের বাবা বিভূতি সাউ আজ বেলেঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। পরিবারের অভিযোগ, এই বিয়ে মেনে নেয়নি শাশুড়ি সন্ধ্যারানি। তা নিয়ে মাঝেমাঝেই দম্পতির মধ্যে অশান্তি হত। ঘটনার আগেও অশান্তি হয় বলে জানা গেছে। পুলিশ সন্ধ্যারানিকে গ্রেপ্তার করে।