ক্যানসারে আড়াই বছরের শিশু হারাল দৃষ্টি, মা-মেয়েকে ঘরছাড়া করল বাবা


রামপুরহাট: বয়স আড়াই। পৃথিবী চেনার আগেই একটা চোখে তার নিকষ কালো অন্ধকার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বাদ গেছে ক্যানসার আক্রান্ত ডান চোখ। চলছে কেমোথেরাপি। অসুস্থ মেয়ে ও তার মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বাবা। এখন তাঁদের ভরসা রামপুরহাট স্টেশনে সান্ধ্য আড্ডা দিতে আসা কয়েকজন যুবক।

ফুটফুটে মেয়ে। জন্মের পর থেকেই বাবার চোখের কাঁটা। বারো বছর আগে তার মা রুকসানা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয় বীরভূমের পাচামি গ্রামের আজাদ শেখের। মেয়ের জন্মের পর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। সনম খাতুনের চোখের সমস্যা থাকলেও ডাক্তার দেখাতে চায়নি তার বাবা। এক বছর বয়সে যখন ডাক্তার দেখানো হল তখন আর কিছু করার ছিলনা। সনমের ডান চোখের টিউমার ততদিনে মারণ রোগে পরিণত।

এর পরই মেয়ে-সমেত রুকসানাকে বাড়ি থেকে বের করে নতুন সংসার পাতে আজাদ। বিধবা মায়ের সামান্য আর্থিক সাহায্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মেয়ের চিকিৎসা শুরু করেন রুকসানা। চিকিৎসকরা সনমের ডান চোখ বাদ যায়।

খরচ অনেক। ক্রমেই নিভে আসছিল আশার আলো। সেই সময়েই তাঁরা পাশে পেলেন রামপুরহাট স্টেশন সংলগ্ন এলাকার কিছু যুবককে। সান্ধ্য আড্ডায় চায়ের কাপে যাঁরা তর্কের তুফান তোলেন, আজ তাঁদের সাহায্যেই একটু একটু করে ফিরছে বিশ্বাস।

আড়াই বছরের শিশুর চোখে রে চলছে। এরপর শুরু হবে কেমোথেরাপি। বহু পথ যেতে বাকি। সে পথে অসহায় মা-মেয়ের আশার আলো বলতে একমাত্র সান্ধ্য আড্ডার জনা কয়েক যুবক। আরও কেউ কি সাহায্য করতে পারেন? আরজি রুকসানার ।