জামাইয়ের মৃত্যুতে ধৃত শাশুড়ি


অনেক দিন ধরে জামাইয়ের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল শাশুড়ির। অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই নানা ছোটখাটো কারণে জামাইকে কটূক্তি করতেন শাশুড়ি। সেই জামাইয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল শ্বশুরবাড়ি থেকে। এই ঘটনায় ওই যুবকের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটা থানা এলাকার চাউলপট্টিতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুরজিৎ সাউ (৩৫)। তাঁকে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান বাড়ির লোক। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা। সুরজিতের বাবা বিভূতি সাউ ছেলের শাশুড়ির বিরুদ্ধে মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অটোচালক সুরজিৎ বন্ডেল গেটে একটি ঘর ভাড়া করে সপরিবার থাকতেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সুরজিতের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না বলে মাঝেমধ্যেই বন্ডেল গেটের বাড়িতে এসে নানা রকম কটূক্তি করতেন সন্ধ্যারানি। তিনি তাঁকে চাউলপট্টির বাড়িতে গিয়ে ঘর জামাই হয়ে থাকার প্রস্তাব দেন। সুরজিতের বাবা বিভূতিবাবুর অভিযোগ, ছেলে প্রথমে না চাইলেও পরে চাপে পড়ে রাজি হন। কিন্তু ওই বাড়িতে থাকতে শুরু করার দিনই সন্ধ্যারানি অভিযোগ করেন, তিনি ঘরে রাখা তিন হাজার টাকা পাচ্ছেন না। ওই টাকা সুরজিৎ চুরি করেছেন বলে অভিযোগ করেন শাশুড়ি। এই নিয়ে অশান্তি শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই সুরজিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই বাড়ি থেকে। পরে অবশ্য ওই তিন হাজার টাকা শাশুড়ির ঘর থেকেই পাওয়া যায়।

সুরজিতের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, খুবই শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিলেন সুরজিৎ। সুরজিতের বাবা বিভূতিবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, এমনিতেই তাঁর ছেলের উপরে নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন চালাতেন সন্ধ্যারানি। শেষে চুরির অভিযোগ করায় সুরজিৎ একেবারেই ভেঙে পড়েন।