বিয়েবাড়িতে বাজি ফাটানো বন্ধ করতে বলায় গণপিটুনি, অসমে মৃত শ্রমিক


নলবাড়ি ও গুয়াহাটি: অসমে এক মাসের সামান্য কিছু বেশি সময়ের মধ্যে ফের গণপিটুনিতে খুন। বাজির টুকরো ছিটকে গায়ে লাগায় বাজি ফাটানো বন্ধ করতে বলার জন্য অসমের নলবাড়িতে এক ব্যক্তিকে বিয়েবাড়িতে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রাতে নলবাড়ির ঘোরাথাল গ্রামের এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার হয়েছে। পেশায় শ্রমিক ৩৫ বছরের নিহত ব্যক্তির নাম যতীন দাশ।

পুলিশ জানিয়েছে, বিয়েবাড়িতে পাত্র এসে হাজির হওয়ায় উল্লাসে বাজি ফাটাতে থাকে মেয়ের বাড়ির লোকজন। সেই বাজির টুকরোয় আঘাত পান ওই শ্রমিক। তিনি প্রতিবাদে বাজি ফাটানো বন্ধ করতে বলায় ক্ষিপ্ত লোকজন তাঁকে ধরে মারতে থাকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। কনে ও তার বাবা-মাকে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিয়ের আচার অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি পুলিশ।

যতীনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় লোকজন দাবি করে, তাঁর শেষকৃত্য করতে দিতে হবে মেয়ের বাড়ির উঠোনে। পরিস্থিতি সামলাতে গ্রামে সিআরপি মোতায়েন করা হয়।

গত ৮ জুন কার্বিআংলং জেলায় বাচ্চা চোর সন্দেহে গ্রামবাসীদের গণপিটুনিতে নিহত হন ২ জন। পুলিশ জানায়, প্রকৃতির শব্দ, জন্তুজানোয়ারের ডাক রেকর্ড করতে সেখানকার একটি পিকনিক স্পটে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের এক ২৯ বছর বয়সি সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ও তাঁর ব্যবসায়ী বন্ধু। সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে তাঁদের ঘিরে ফেলে বেদম মার দেওয়া হয়।