৪ দিনে ৫০ জনের যৌন লালসার শিকার একুশের যুবতী!


একরত্তি থেকে বড়, কেউই অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। উপরন্তু দিন দিন মহিলাদের উপর অত্যাচারের পরিমাণ আরও বেড়েই চলেছে। চার দিনে প্রায় ৫০ জনের গণধর্ষণ শিকার হয়েছে এক ২১ বছরের যুবতী। ধর্ষিতা যুবতীর অভিযোগ, গত ১৫ থেকে ১৮ জুলাইয়ে পাঞ্চকুলার মোরনি হিলস এলাকার গেস্টহাউসের বিভিন্ন ঘরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দিনে ১০ জনেরও বেশি লোক তাঁকে ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ দায়ের করেছে সে। 

ঘটনার পর, গেস্টহাউসের মালিক সুনীল কুমার ও তাঁর বন্ধু অবতার সিং-কে গ্রপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে বরখাস্ত করা হয়েছে মহিলা পুলিশ থানার দুই অ্যাসিসট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মহিলার স্বামীর কথায়, সুনীল তাঁর স্ত্রীকে গেস্টহাউসে হাউসকিপিংয়ের চাকরি দেওয়ার কথা বলেন। বেতন মাসে ১২ হাজার টাকা দেবে বলে জানায় সে। গত ১৫ তারিখে স্ত্রীকে গেস্ট হাউসে নিয়ে যায় সে। মহিলার অভিযোগ, সুনীল প্রথম তাঁকে ধর্ষণ করে। পরে গেস্টহাউসে আরও লোক আসতে থাকে, তাঁরাও যুবতীকে একের পর এক ধর্ষণ করে বলে জানায় সে। চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাঁকে শুধু গণধর্ষণ করা হয়েছে তাই নয়, প্রতিবার তাঁকে মদের সঙ্গে অত্যাধিক পরিমাণে ড্রাগ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। 

অন্যদিকে মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে, তাঁকে বলা হয়, সে যেহেতু পাঞ্চকুলার বাসিন্দা নন, তাই তাঁর এফআইআর নেওয়া যাবে না। তাঁকে অভিযোগ জানাতে গেলে চণ্ডীগড়ে যেতে হবে। ঘটনায় দুজন মহিলা কনস্টেবল ও সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। 

মহিলার স্বামীর কথায়, স্ত্রীকে বহুবার চেষ্টা করেও ফোনে পাননি। একটা সময় ফোন ধরে বলে, খুব তাড়াতাড়িই বাড়ি ফিরবে। পরে স্ত্রীর ফোন ধরে সুনীল বলেন, দুদিন পরই সে বাড়ি ফিরবে। 

পূর্ব চন্ডীগড়ের ডিএসপি সতীশ কুমার জানিয়েছেন, মহিলা যে গণধর্ষণের শিকার তা মেডিক্যাল রিপোর্টে প্রমাণিত। এরপরই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের ১৪দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে।