‘আমরা সন্ত্রাসবাদীদের টিপস দিই না’, খদ্দের লিখলেন রেস্তরাঁর বিলে!


রেস্তরাঁ থেকে খেয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন খদ্দের। রেখে যাওয়া টিপস নিতে নির্দিষ্ট টেবিলে গেলেন ওয়েটার খালিল সাভিল। দেখলেন, রেস্তরাঁর বিলে লেখা তাঁর নামের জায়গাটি পেনের কালিতে গোল করে দাগ দেওয়া। পাশে লেখা রয়েছে, 'আমরা সন্ত্রাসবাদীদের টিপস দিই না।'

চমকে ওঠেন খালিল! গত শনিবারের এই ঘটনার কথা নিজেই ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি। লিখেছেন, কর্মজীবনে কখনও এ রকম বিদ্বেষের শিকার হননি তিনি। আমেরিকার টেক্সাসে বর্ণবিদ্বেষের এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।

গত শনিবার রাতে রেস্তরাঁর টেবিলে রাখা বিলটি দেখে রীতিমতো চুপ করে গিয়েছিলেন খালিল। ভাবতে পারেননি, তাঁর নাম কিংবা চেহারার কারণে কেউ এ ধরনের মন্তব্য বিলে লিখে রাখতে পারে। ফেসবুকে তিনি এই গোটা ঘটনাটি লেখার পর সেটা ১৯ হাজার শেয়ার করেন নেটিজেনরা। তীব্র নিন্দা করেন এই ঘটনার। ৮ হাজার জন মন্তব্যও করেন খালিলের সমর্থনে।

এই ঘটনার পরেই তাঁর রেস্তরাঁয় বর্ণবিদ্বেষী ব্যক্তিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ওই রেস্তরাঁর মালিক। স্পষ্ট ভাবে তিনি জানিয়েছেন, রেস্তরাঁকর্মীদের পাশেই রয়েছেন।

'আমি খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী'— এ কথা তাঁর ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট ভাবেই লিখেছেন খালিল। তাঁর কথায়, ''আমি এক জন অর্ধ কৃষ্ণাঙ্গ-অর্ধ শ্বেতাঙ্গ। খালিল নামে আমার বাবার এক বন্ধু দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। বন্ধুকে মনে রেখেই তিনি আমার নাম খালিল রাখেন। কারণ আরবি ভাষায় খালিল শব্দের অর্থ বন্ধু।''

খালিলের টিপস হিসাবে অর্থ সংগ্রহ করা শুরু হয় ফেসবুকে। যদিও খালিল উল্লেখ করেন, 'টিপস' সংগ্রহ করার কোনও উদ্দেশ্যই তাঁর নেই। বর্ণ-ধর্ম— যে কোনও রকম বিদ্বেষের বিরোধিতা করেন তিনি।

ডালাসের ব্যপ্টিস্ট ইউনিভার্সিটিতে কিছু দিনের মধ্যেই থিওলজি নিয়ে পড়তে যাচ্ছেন খালিল। একান্ত ধর্মপ্রাণ হলেও ধর্মের সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন খালিল। বিদ্বেষমূলক কোনও মনোভাবকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই বদল ঘটানো সম্ভব বলে উল্লেখ করেন খালিল। রেস্তরাঁর মালিক-সহ প্রত্যেকে তাঁর পাশে থাকায় অত্যন্ত খুশি তিনি, ফেসবুকে লেখেন খালিল।