মেয়ে ‘পাতিয়ে’ ধর্ষণ নাবালিকাকে!


বালুরঘাট: পাতানো কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে৷ লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বালুরঘাট থানায়৷ অভিযুক্ত স্বপন পাটোয়ারি অবশ্য ইতিমধ্যেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন৷ পুলিশ নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাটেরই শান্তিময় ঘোষ কলোনির বাসিন্দা স্বপন পাটোয়ারি পেশায় রাজমিস্ত্রী৷ স্থানীয় এক বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়েই ওই নাবালিকার সঙ্গে পরিচয় হয়৷ এরপর টানা কিছুদিন কাজ করার সূত্রে বাড়ির ছোট্ট মেয়েটিকে নিজের মেয়ে পাতিয়ে নেন৷

রবিবার সকালে মেয়েটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যা সিনেমাহল পাড়াতে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাচ্ছিল৷ পথে স্বপন পাটোয়ারি তাঁকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে সাইকেলে চাপিয়ে সোজা চিঙ্গিশপুরে নিয়ে যান বলে অভিযোগ৷ সেখানে এক আত্মীয়র বাড়িতে তাকে দিনভর রেখে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷

বিকেলে ফের সাইকেলে চাপিয়ে বালুরঘাটে বাড়িতে ছেড়ে দেয়৷ এরপরই ওই নাবালিকা বাড়িতে এসে মাকে বিষয়টি বলে৷ সোমবার সকালে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে৷ পুলিশ স্বপন পাটোয়ারির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে৷

সোমবার বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার মা জানান, স্বপন তাঁদের বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেছিলেন৷ সেই সময় তাঁদের মেয়েকে ধর্ম মেয়ে পাতায়৷ রবিবার সকালে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাওয়ার পথে মেয়েকে সাইকেলে তুলে চিঙ্গিশপুরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে৷ অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও করেছেন নির্যাতিতার মা৷

এ ব্যাপারে বালুরঘাট থানার আইসি সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় স্বপন পাটোয়ারির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে৷ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক৷ খুব শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করে ফেলা হবে বলেও আইসি জানিয়েছেন৷