টানা ৭ মাস ধরে ২২ জনের লালসার শিকার ১২-র কন্যা


১২ বছরের এক বধির কন্যাকে টানা ৭ মাস ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, চেন্নাইয়ের একটি অ্যাপার্টমেন্টের খালি ফ্ল্যাটে মাদকাসক্ত করে মেয়েটির উপর যৌন অত্যাচার চালিয়েছে অ্যাপার্টমেন্টের নিরাপত্তা রক্ষী, কল মিস্ত্রি, লিফ্টম্যান-সহ প্রায় ২২ জন। 

মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে চেন্নাইয়ের পুরাসাওয়ালকামে। পুলিশকে মেয়েটি জানিয়েছে, ৩০০ ফ্ল্যাটের ওই কমপ্লেক্সের বেশিরভাগই খালি পড়ে রয়েছে। সেখানে তাকে একদিন প্রথম ধর্ষণ করে ৬৬ বছরের লিফ্টম্যান। তিনদিন পর সে আরও দুজনকে মদ্যপ অবস্থায় নিয়ে আসে। তারাও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ও ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে রাখে। কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও কয়েকজন এবং বারবার তারা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

ধর্ষকরা ক্লাস সেভেনের ছাত্রীটিকে মাদকের ইঞ্জেকশন দিত বা মাদল মেশানো কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়াতো। অথবা মাদক শুঁখিয়ে তার উপর যৌন নির্যাতন চালাতো। আর সেই দৃশ্য ভিডিয়ো করে হুমকি দিত, কারওকে বললে ভিডিয়োটি ফাঁস করে দেওয়া হবে। ভয়ে কিছু বলতে পারেনি মেয়েটি।

পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলভ্যান থেকে নামার পরই রবি তাকে হয় বেসমেন্ট, নয়তো পাবলিক ওয়াশরুম, নয়তো টেরাসে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করত। বেশিরভাগ ফ্ল্যাটই খালি থাকায় নির্দ্বিধায় দিনের পর দিন এই অপরাধ চালিয়ে গিয়েছে ধর্ষকরা। মেয়েটির কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। মেয়ে স্কুল থেকে দেরি করে ফেরায় মা ভাবতেন মেয়ে বুঝি কমপ্লেক্সের বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খেলাধূলা করে ফিরছে, তাই দেরি হচ্ছে। 

পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, 'গত শনিবার মেয়েটির দিদিকে সব কথা জানায় মেয়েটি। তার দিদি দিল্লির কলেজের ছাত্রী। সে বাড়ি ফেরায় তাকে সব খুলে বলে বোন। এরপর দিদি বাবা-মাকে জানালে তাঁরা অয়নভরাম মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।' ডাক্তারি চিকিত্‍‌সার পর দেখা গিয়েছে, বহু মানুষ মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। ১৮ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই নৃশংস ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।