পয়লা অগস্ট থেকে কমিশন বাতিল! বাস মালিকরা কি বলছেন ?


পয়লা অগস্ট থেকে বেসরকারি বাসে বেতন কাঠামো চালু হতে চলেছে। আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। কিন্তু বাস, মিনিবাস মালিকরা কমিশন প্রথা উঠে যাওয়া নিয়ে কিছুটা অবাকই হচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, সত্যিই কমিশন প্রথা উঠে যাচ্ছে? সরকারের তরফে এমন কোনও নির্দেশ আসেনি তো!

বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করলেন, সবটাই তাঁরা শুনেছেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে। তাঁদের প্রশ্ন, কমিশনপ্রথা তুলে দিলেই কি দুর্ঘটনা কমবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারবে প্রশাসন? সেই সঙ্গেই দাবি উঠেছে, সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করুক  পরিবহণ দফতর।

এ দিন জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের অফিসে বৈঠকে বসেন কলকাতা, হাওড়া, হুগলি  এবং দুই ২৪ পরগনার পরিবহণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মালিক ও কর্মীরা। তাঁদের পক্ষে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। সরকারই ঠিক করে দিক বেতন কাঠামো। ওদের কাছেও সরকারি বাস রয়েছে। পরিবহণ দফতরকে ভর্তুকি দিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। আমাদের পক্ষ থেকে সেটা সম্ভব নয়। এক জন চালক বা কনডাক্টর পুরো মাস বাস চালান না। তাদেরকে কিভাবে বেতন দেওয়া হবে? কোনও কিছুই স্পষ্ট নয়।"

সরকার যদিও নিজেদের অবস্থানে অনড়। অগস্ট থেকে কোনও ভাবেই আর কমিশনের ভিত্তিতে দৈনিক মজুরি দেওয়া যাবে না। বাস মালিকরা যাই বলুন না কেন, আগামী পয়লা অগস্ট থেকেই বেতন কাঠামো চালু করতে বদ্ধপরিকর পরিবহণ দফতর। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকের সময়েই কমিশন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

বাস সংগঠনগুলিই বলেছিল, পাঁচ জেলা ছাড়া দেশের কোথাও কমিশন প্রথা নেই। তার পরেই বেতন কাঠামো চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগ, কমিশনের জন্যই একই গন্তব্যের বাস, মিনিবাস নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এবং অনেকের প্রাণ যাচ্ছে। পরিবহণ দফতরের উদ্দেশ্য, কমিশন প্রথা তুলে দিলেই যাত্রী তোলা নিয়ে রেষারেষি বন্ধ হবে। পরোক্ষ ভাবে দুর্ঘটনাও কমবে।