অবৈধ ফার্মহাউস নির্মাণের অভিযোগ, সলমনকে নোটিস মহারাষ্ট্র বনদপ্তরের


আবারও কি বিপাকে পড়তে চলেছেন সলমন খান? অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে এবার সলমন ও তাঁর পরিবারকে নোটিস পাঠাল মহারাষ্ট্র বনদপ্তর। সাত দিনের মধ্যে ওই নোটিসের জবাব না দিলে খান পরিবারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার পানভেলে একটি ফার্মহাউস রয়েছে ভাইজানের। সলমন খান ছাড়াও ওই ফার্মহাউসের মালিকানা রয়েছে বাবা সেলিম খান, বোন অর্পিতা খান, আলভিরা খান, ভাই আরবাজ খান, সোহেল খান ও মা হেলেনের। এক অনাবাসী ভারতীয় অভি‌যোগ করেছেন ওই ফার্মহাউসটি তৈরি করা হয়েছে বনদপ্তরের আইন ভেঙে।

নোটিসে বলা হয়েছে, বন আইন ভেঙে ফার্মহাউস তৈরি করতে সিমেন্ট, কংক্রিট আনা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই নির্মাণ করার জন্য অন্যান্য আইনও ভাঙা হয়েছে। নোটিসে আরও বলা হয়েছে, উপ‌যুক্ত সময়ের মধ্যে ‌ওই নোটিসের জবাব না দেওয়া হলে, মালিকপক্ষের কিছু বলার নেই বলে ধরে নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আইন অনু‌যায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয় নোটিসে।

এদিকে এ ব্যাপারে সলমনের বাবা সেলিম খান বলেন, ''ফার্মহাউসটি নির্মাণের জন্য সব আইনই মানা হয়েছে। প্রয়োজনীর ফি-ও জমা দেওয়া হয়েছে। কোনওভাবেই ওটি কোনও বেআইনি নির্মাণ নয়।''

এর আগে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় বিপাকে পড়েন বলিউডের ভাইজান৷ মামলায় জেলেও কাটাতে হয় তাঁকে৷ এবার বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে বনদপ্তরের নোটিসে ফের বিপদে পরার আশঙ্কা সলমনের৷

প্রসঙ্গত, চলতি বছর আলিবাগের ফার্মহাউস নিয়ে আইনি নোটিস পৌঁছয় শাহরুখের কাছে৷ শাহরুখের ওই বাংলোর আনুমানিক মূল্য ১৪ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। সমুদ্রতটে ১৯ হাজার ৯৬০ বর্গমিটারের এই বাংলোয় ছিল সুইমিং পুল, বিচ আর হেলিপ্যাডও। ২০০৪ সালে ওই কৃষি জমি কেনা হয়৷ শর্ত হিসাবে বলা হয়েছিল, আগামী তিন বছরের মধ্যে ওই জমিকে চাষের জন্য ব্যবহার করার কাজ শুরু করতে হবে। কিন্তু দেখা যায় ফার্মহাউস হিসাবেই ওই জমিটিকে কাজে লাগাচ্ছেন না তিনি৷ এরপর আইনি নোটিসে কোনও সদুত্তর না মেলায়  বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই ফার্মহাউসটি৷