নমোর অটোগ্রাফেই সেলিব্রিটি বাঁকুড়ার যুবতী, পরপর আসছে বিয়ের প্রস্তাব


রীতাকে নমোর অটোগ্রাফ।
ডানদিক থেকে দ্বিতীয় রীতা। পরিবারের সঙ্গে।

বাঁকুড়ার খ্রিস্টান কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কখনও স্বপ্নেও ভাবেনি যে একটা সই তাঁর জীবন বদলে দেবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অটোগ্রাফ পেয়ে এলাকায় প্রায় সেলিব্রিটি হয়ে গিয়েছেন ১৯ বছরের রীতা মুদি। মুহুর্মুহু ফোন তো আসছেই, তার সঙ্গে আসছে একের পর এক বিয়ের প্রস্তাব। 

গত ১০ দিন ধরে ফোনে ফোনে তাঁর প্রাণ ওষ্ঠাগত। শুক্রবার ফোনেই তিনি জানালেন, 'সেদিন যখন হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী আমার বিছানার পাশে এসেছিলেন, তখন তাঁকে বলেছিলাম কতটা খুশি হয়েছি। আমি একটা সই-এর জন্য অনুরোধ করেছিলাম। দেখলাম তিনি প্রথমে অটোগ্রাফ দিতে অস্বস্তি বোধ করছেন। আবার অনুরোধ করলাম। এরপর হেসে তিনি লিখে দিলেন, রীতা মুদি তুমি সুখে থেকো। নরেন্দ্র মোদী। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি তাঁকে কাগজটি লেখার জন্য দিয়েছিলেন।'

গত ১৬ জুলাই নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শুনতে মা ও বোনকে নিয়ে মেদিনীপুরে গিয়েছিলেন রীতা। সেদিন মঞ্চের সামনে যে ছাউনিটি ভেঙে পড়েছিল, তার নীচেই ছিলেন তাঁরা। আহত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী যখন আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান, তখনই তাঁর সঙ্গে দেখা হয় রীতার। 

সেদিনরে পর থেকে রীতার বাড়িতে অতিথির সমাগম লেগে রয়েছে। সবাই যাচ্ছেন মোদীর লেখা দেখতে। রীতার কথায়, 'যাঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন না, তাঁরাও আসছেন। আমার মনে হয় সংবাদপত্রে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার ছবি চলে যাওয়ায় এতটা বিখ্যাত হয়ে গিয়েছি।'

রীতার মা সন্ধ্যা জানালেন, 'গত ১০ দিনে রীতার জন্য দুটো বিয়ের প্রস্তাবও এসেছে। প্রথমটি এসেছে ঝাড়খণ্ডের টাটানগর থেকে। সেখানে পাত্রের নিজের ব্যবসা আর কোনও দাবিদাওয়া নেই। তাঁরা আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। দ্বিতীয় প্রস্তাবটি এসেছে বাঁকুড়ার ছাতনা থেকে। পাত্রের চাষের জমি আছে। তবে আমার দুই মেয়েই আরও পড়াশোনা করতে চায়। তাই বিয়ের প্রস্তাবগুলোয় আমল দিইনি।'

মোদীর অটোগ্রাফ পাওয়ার ঘটনার আগে রীতার জন্য একটি বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল। তখন পাত্রপক্ষ এক লাখ টাকা পণ চেয়েছিল। নমোর সৌজন্যে রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে যাওয়ায় সেই কন্যারই কদর এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে।