শিক্ষাকে রাজনীতিমুক্ত করতে চান পার্থ


কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত করার সদিচ্ছা প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে কী ভাবে কোন পথে তা হবে, তার কোনও বিশদ পথনির্দেশ বুধবার তিনি দেননি। শুধু বলেছেন, কলেজে মেধা তালিকার বাইরে ভর্তি হবে না।

এ দিন তিনি বলেন, ''শিক্ষাক্ষেত্রকে রাজনীতি মুক্ত করবই। সবটা হয়তো একসঙ্গে করা যাবে না। ধাপে ধাপে করা হবে।'' শিক্ষামন্ত্রী স্বীকার করেন, স্কুল-কলেজগুলির পরিচালন কমিটিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি এখনও বন্ধ হয়নি। ফলে তাঁদের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাবও জারি রয়েছে।

সে ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজের পরিচালন ব্যবস্থায় রাজনীতিকদের অংশগ্রহণ বন্ধ করার আইন হবে কি? উত্তর মেলেনি। এর আগে তৃণমূল আমলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করে পরিচালন ব্যবস্থাকে রাজনীতি-মুক্ত করার চেষ্টা হয়েছিল। যা অল্প দিনেই খারিজ হয়ে যায় এবং সিপিএম জমানার পুরনো ব্যবস্থা কার্যত ফিরে আসে। শিক্ষামন্ত্রীর সদিচ্ছার মনোভাব থেকে বিষয়টি নিয়ে সরকার আবার ভাবনাচিন্তা করছে কি না, সেই প্রশ্ন ওঠে। কারণ, এটা না হলে যে শিক্ষাক্ষেত্র রাজনীতিমুক্ত হবে না, বিশেষজ্ঞদের অভিমত সেটাই।

পার্থবাবু অবশ্য বিশদ কিছুই বলেননি। তবে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বছর থেকে সব কলেজকেই ভর্তি প্রক্রিয়ার শুরুতেই কোন বিষয়ে কত আসন রয়েছে, ন্যূনতম কত নম্বর পেলে আবেদন করা যাবে, তা সংশ্লিষ্ট কলেজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এমনকী, কোন বিষয়ে কত পড়ুয়া ভর্তি হলেন, তাঁদের প্রাপ্য নম্বর কত, কোন বিষয়ে কত আসন ফাঁকা থাকল সবটাই ওয়েবসাইটে জানাতে হবে। এই তালিকা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে হবে। সেই তালিকা খতিয়ে দেখবে উচ্চশিক্ষা দফতর।