মহিলার হাত-পা বেঁধে দুঃসাহসিক কাণ্ড ঘটাল শ্বশুর-জামাই


বারাকপুর: মধ্যবয়স্কা মহিলাকে বাড়িতে একা পেয়ে তাকে বেঁধে রেখে লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তি লুঠের অভিযোগ উঠেছিল৷ সন্দেহের তালিকায় ছিল প্রতিবেশী শ্বশুর ও জামাই।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিমতা থানার অন্তর্গত সুকান্তপথ এলাকায় কল্পনা মণ্ডলের বাড়িতে ওই দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু খবর পেয়েই তড়িঘড়ি সেই ডাকাতির কিনারা করল নিমতা থানার পলিশ৷

ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুকান্তপথ এলাকারই বাসিন্দা পেশায় মাছ বিক্রেতা বিশ্বনাথ দাস এবং তার জামাই পেশায় ক্ষুদ্র হোশিয়ারি কারখানার মালিক দীপান বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে নিমতা থানার পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিমতা থানার পুলিশ। বুধবার সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিমতা থানার পুলিশ জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিমতা থানা অঞ্চলের সুকান্তপথ এলাকার বাসিন্দা মধ্যবয়স্ক মহিলা কল্পনা মণ্ডল তাঁর ছেলের সঙ্গে থাকেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেদিন তাঁর বাড়ির পিছনের দরজা খোলা ছিল। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মঙ্গলবার রাতে তার বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে হঠাৎ মুখে গামছা বাঁধা দুই দুষ্কৃতী তাঁর ঘরে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কল্পনাদেবীকে তারা দুটো লাঠি মেরে ঘরের মেঝেতে ফেলে দেন৷ শুধু তাই নয় তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেঁধে রেখে দেয় ওই দুই দুষ্কৃতী৷

অভিযোগ, তাঁর বাড়ি থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা সহ লক্ষাধিক টাকার সোনা ও রুপোর গহনা লুঠ করে পালিয়ে যায় ওই দুই দুষ্কৃতী৷ কল্পনাদেবী সুদের ব্যবসায় টাকা খাটান৷ সেই কারণে বন্ধন ব্যাংক থেকে তিনি ঋণ করে ৬০ হাজার টাকা নগদ ঘরে এনে রেখেছিলেন।

মুখ ঢাকা ওই দুই দুষ্কৃতী কল্পনাদেবীর বাড়ি থেকে নগদ ওই টাকা সহ তাঁর বিয়ের সোনার গয়না এবং একমাত্র ছেলেকে জন্মদিনে উপহার দেওয়া ১২ টি রুপোর হার লুঠ করে পালায়।

উল্লেখ্য, ওই দুষ্কৃতীদের আচারণ দেখে কল্পনাদেবীর সন্দেহ হয় যারা ডাকাতি করেছে তারা আসলে তাঁর প্রতিবেশী শ্বশুর ও জামাই। এরপরই নিমতা থানার পুলিশকে সেই সন্দেহের কথা জানায় কল্পনাদেবী। পুলিশ তড়িঘড়ি সেই ডাকাতির তদন্ত শুরু করে৷ রাতারাতি কল্পনা মণ্ডলের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশী বিশ্বনাথ দাস ও তার জামাই দীপান বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে ধৃতদের জেরা করে তথ্য আদায়ের কাজ চালাচ্ছে নিমতা থানার পুলিশ।