২৪ ঘণ্টাতেই মধ্যমগ্রামে তৃণমূল নেতা খুনের কিনারা! গ্রেফতার ৭০ বছরের বৃদ্ধ


২৪ ঘণ্টাতেই মধ্যমগ্রামে তৃণমূল নেতা খুনের কিনারার দাবি করল মধ্যমগ্রাম পুলিশ। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে কারখানারই অপর এক নিরাপত্তারক্ষী বছর ৭০-এর শিবপদ সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে সোমবার আদালতে তোলা হবে। খুনে আর কেকে জড়িত রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সুধীর দাস। মধ্যমগ্রাম পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি। এলাকায় বিধায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কারখানার মালিকও বিশ্বাস করতেন সুধীর দাসকে। বৃদ্ধ শিবপদ সরকারের অভিযোগ, সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই কারখানার যাবতীয় সুবিধা ভোগ করতেন বছর কুড়ি ধরে কারখানার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সুধীর দাস। শুধু তাই নয়, বৃদ্ধের অভিযোগ, কারখানার সবকর্মীর বেতন হত ওই সুধীর দাসের হাত দিয়েই। ফলে পুরো টাকা কর্মীদের তিনি দিতেন না বলে অভিযোগ। অন্যদের টাকা সুধীর দাস আত্মসাত করতেন বলে অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধ শিবপদ সরকার।

রবিবার সন্দেহজনক মনে হওয়ায় কারখানার অপর নিরাপত্তারক্ষী বছর সত্তরের শিবপদ সরকারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তবে ৭০ বছরের ওই বৃদ্ধ ভেঙে পড়েননি বলেই দাবি পুলিশের। কোনও কোনও সময় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেন বলে অভিযোগ। কোনও সময় তিনি বলেছেন, খুনের পিছনে আরও দুজন যুক্ত রয়েছেন। কোনও সময়ে বলছেন একজন। তবে ধৃতের দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

শনিবার থেকে নিখোঁজ থাকার পর রবিবার সকালে মধ্যমগ্রামের একটি কারখানার সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে থেকে সুধীর দাসের দেহ উদ্ধার হয়। মাথায় ভারী কোনও কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। হাত ছিল পিছনের দিকে বাধা।

পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ ছিল না । দুপুরে বাড়িতে খেতে যেতেন। কিন্তু তা না হওয়ার পরিবারের সদস্যরা খোঁজখবর শুরু করেন। পরিবারের তরফে মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

কারখানার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, সুধীর দাস শনিবার সকালে কারখানায় কাজে যোগ দিতে ঢোকেন। সেই সময় তাঁকে অনুসরণ করছিল মুখে গামছা বাঁধা এক ব্যক্তি। মিনিট ৫০ পরে ওই ব্যক্তিকে একাই বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। মুখে গামছা বাধা ব্যক্তি শিবপদ সরকার নন, তা একপ্রকাস নিশ্চিত পুলিশ। তবে ওই ব্যক্তি কে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।