মৃতা স্ত্রীকে ফেলে পলাতক স্বামী, খুনের অভিযোগ


তাঁদের মেয়েকে খুন করে জামাই পালিয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ জানাল এক তরুণীর পরিবার। পণের দাবিতে বধূ খুনের একটি অস্বাভাবিক মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।

তরুণীর পরিবার সূত্রের খবর, রবিবার ভোরে শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর দেন সইফ আলি নামে এক যুবক। খবর পেয়ে দ্রুত পরিজনেরা মেয়ের বাড়ি এসে দেখেন, আধবোজা অবস্থায় বিছানায় শুয়ে তাঁদের মেয়ে। বছরখানেকের ছেলেটি ঘুমোচ্ছে তাঁর পাশেই। কিন্তু খোঁজ নেই সইফের। এর পরেই তাঁরা দ্রুত ফোন করেন তালতলা থানায়। পুলিশ গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে বছর বাইশের ওই তরুণীকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতা ওই তরুণীর নাম কুমসুম বানু।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কুমসুমকে নিয়ে এক মাস আগে ৮ আব্দুল লতিফ স্ট্রিটের এক চিলতে ঘরে ভাড়া নিয়ে উঠেছিলেন সইফ। তাঁদের একটি বছরখানেকের পুত্র সন্তানও রয়েছে। সইফ একটি বেসরকারি খাবার সরবরাহকারী সংস্থায় 'ডেলিভারি বয়' হিসাবে কাজ করেন। কুমসুমের পরিজনেদের অভিযোগ, বছর আড়াই আগে বিয়ে হয়েছে তাঁদের। তার পর থেকে সইফ মাঝেমধ্যেই পণ চেয়ে স্ত্রীকে মারধর করতেন। রবিবার ভোরে সইফই প্রথম শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানান, কুমসুম মারা গিয়েছেন। প্রায় একই এলাকার বাসিন্দা কুমসুমের পরিবার। খবর পেয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের বাড়িতে ছুটে আসেন তাঁরা। এসে দেখেন সইফ বাড়িতে নেই। অস্থিচর্মসার শরীর নিয়ে আধবোজা অবস্থায় শুয়ে কুমসুম। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তৎক্ষণাৎ তাঁরা পুলিশে যোগাযোগ করেন।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, কুমসুমের শরীরে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে আত্মহত্যারও কোনও সূত্র মেলেনি। পড়শিদের অভিযোগ, স্ত্রীর হাতে সংসার চালানোর জন্য সইফ টাকাপয়সা প্রায় দিতেনই না। ফলে খাওয়া-দাওয়াও প্রায় পেতেন না কুমসুম। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে। খোঁজ চলছে পলাতক স্বামীর।