স্নান করছেন বন্ধুর মা, বাথরুমে উঁকি দিয়ে কী হাল হল যুবকের?


বাথরুমের দরজার দিয়ে দিনের পর দিন বন্ধুর মায়ের স্নানে উঁকি। এই অপরাধে প্রাণ গেল যুবকের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের শ্রীলিঙ্গমপল্লিতে।

মৃত যুবকের নাম এন অজয় দেবরাজ (২০)। পেশায় ফটোগ্রাফার অজয় মাঝেমাঝে গাড়িও চালাতো। সেই সূত্রেই অভিযুক্তের সঙ্গে তার পরিচয়। অভিযুক্ত যুবকের নাম আর সম্পথ। সে পেশায় ক্যাব চালক। অভিযোগ, রবিবার রাতে দু'জনে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিল। রাস্তায় আকণ্ঠ মদ্যপানের পর অজয়কে কুপিয়ে খুন করে সম্পথ। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গলার নলিও কেটে দেয়। এই ঘটনায় সম্পথকে সহযোগিতা করেছে তার আরও তিন বন্ধু। অজয়কে খুন করে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সম্পথ। এই ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

জানা গিয়েছে, দুই যুবকের বাড়ি এক পাড়াতেই। প্রায়ই সম্পথদের বাড়িতে যাতায়ত করত অজয়। মাসখানেক আগে এমনই একদিন বাথরুমের দরজায় চোখ লাগিয়ে সম্পথের মায়ের স্নানদৃশ্য দেখছিল অজয়। আচমকাই তা সম্পথের চোখে পড়ে যায়। বন্ধুর অভিসন্ধি বুঝতে অসুবিধা হয়নি সম্পথের। কেন প্রায়ই সে এবাড়িতে আসে তাও স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে সঙ্গেসঙ্গেই তাকে কিছু বলেনি। এরপরে সময় কেটেছে, অজয়ের গতিবিধির দিকে কড়া নজর রেখেছে সম্পথ। মায়ের সঙ্গে দিনের পর দিন ঘটে চলা এই ঘটনার জন্য বন্ধুকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার সুযোগ খুঁজছিল সম্পথ। রবিবার রাতে সেই সুযোগ চলে আসে। মদ্যপানের আমন্ত্রণ জানিয়ে অজয়কে ডাকে সে। রাস্তায় বেশকিছুক্ষণ ড্রাইভিংয়ের পর আকণ্ঠ মদ্যপান করে অজয়কে কুপিয়ে খুন করে সম্পথ। খবর পেয়ে গুরুতর আহত ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান অজয়ের দাদা। তবে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনায় অজয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তার পরিবার। পালটা দাবি, প্রেমঘটিত কারণে তাকে মেরে ফেলেছে সম্পথ। প্রেমিকার পরিবারের তরফেই অজয়কে খুনের জন্য সম্পথকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তাই সম্পথ তাকে মেরে ফেলেছে। প্রকৃত ঘটনার অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।