৯০ দিনে বিশ্বভ্রমণ, পরিষ্কার আকাশের অপেক্ষায় পঞ্জাবের দুই কিশোরী পাইলট


আরোহী পণ্ডিত আর কেথিয়ার মিসকুইটা। ছোট্ট বিমানে ৯০ দিনে পৃথিবী পাক দেবেন পঞ্জাবের এই দুই খুদে পাইলট। আপাতত পরিষ্কার আকাশের অপেক্ষা, সঙ্কেত মিললেই শুরু হবে তাঁদের অভিযান।

ছোট থেকেই পাইলট হওয়ার স্বপ্ন। সেই লক্ষ্যেই বম্বে ফ্লাইং ক্লাবে লাগাতার প্রশিক্ষণের পর এখন পুরোদস্তুর বিমানচালক ক্যাপ্টেন পণ্ডিত আর ক্যাপ্টেন মিসকুইটা। বয়েস কুড়ির কোঠায়, তবু এর মধ্যেই তাঁরা নিয়েছেন বিশ্বজয়ের পরিকল্পনা।

আকাশপথে পৃথিবীকে পাক দিতে দুই বন্ধুর হাতিয়ার স্লোভেনিয়ায় তৈরি একটি হাল্কা ওজনের বিমান। ৮০ অশ্বশক্তির এই বিমানকে তাঁরা নাম দিয়েছেন 'মাহি'। তবে খারাপ আবহাওয়ায় একদমই উড়তে পারে না এই বিমান। আবার চার ঘন্টার বেশি আকাশে একটানা ওড়ার ক্ষমতা নেই মাহি-র। তাই যাত্রাপথে বারবার মাটিতে নামতে হবে দুই বন্ধুকে। সেই কথা মাথায় রেখেই নিজেদের রুট ঠিক করেছেন তাঁরা।

তবে ক্ষমতা কম হলেও মাহি-র বিশেষত্ব অন্য জায়গায়। কোনও কারণে বিপদের মুখোমুখি হলে, পুরো বিমানটিকেই আকাশে ঝুলিয়ে রাখা সম্ভব বিশেষ প্যারাসুটের সাহায্যে। তারপর ধীরে ধীরে তাঁরা নেমে আসতে পারবেন মাটিতে। তবে রাস্তার বিপদ, যান্ত্রিক গোলযোগের আশঙ্কা, কোনও কিছুই দমাতে পারছে পারছে না এই দুই কিশোরীকে।পরিকল্পনা মাফিক ৯০ দিনে তিনটি মহাদেশ ও ২৩ টি দেশের আকাশপথে উড়বেন আরোহী আর কেথিয়ার। পাড়ি দেবেন মোট ৪০,০০০ কিলোমিটার পথ।

আপাতত পঞ্জাবের পাতিয়ালায় পরিষ্কার আকাশের অপেক্ষায় দুই বন্ধু। খবর এলেই তাঁরা রওনা দেবেন আমদাবাদ। সেখান থেকে ঢুকে পড়বেন পাকিস্তানের আকাশে। সেখান থেকে ইরান, তুরস্ক, অস্ট্রিয়া, ইংল্যান্ড। তারপর অতলান্তিক পেরিয়ে আইসল্যান্ড। সেখান থেকে গ্রিনল্যান্ড, কানাডা, আমেরিকা হয়ে রাশিয়া। তারপর চিন, মায়ানমার হয়ে দুই বন্ধু ঢুকে পড়বেন ভারতে। আগামী তিনমাস তাই দুই বন্ধুর কাটবে শহর, গ্রাম, জঙ্গল, পাহাড়, মরুভূমি আর সমু্দ্রের উপরেই। সারা পৃথিবীর মহিলাদের উন্নয়নই তাঁদের অভিযানের লক্ষ্য। আর এই মিশনে তাঁদের সাহায্য করছে 'উই' নামের একটি সংস্থা। দুই বন্ধুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী মানেকা গাঁধীও।