স্কুলের সামনে ৫০,০০০ টাকা পেয়েও ফেরাল খুদে, পুরস্কার দিল পুলিশ


টিফিনের সময় স্কুলের বাইরে বেরিয়ে আচমকাই হাতে এসে গিয়েছিল এক বান্ডিল টাকা। শিশুমনে অবশ্য কোনও লোভ জাগেনি। বন্ধুদের দেখাতে পারত। বাড়িতেও নিয়ে চলে যেতে পারত। কিন্তু কিছুই না করে সেই টাকা তুলে দিয়েছিল শিক্ষকদের হাতে। সেখান থেকে তা যায় পুলিশের কাছে। বালকের এই সততাতে মুগ্ধ অফিসাররাও। জামা কিনে দিয়ে আর শংসাপত্র দিয়েই শিশুর জীবনে এই মুহূর্তটিকে বাঁধিয়ে রাখতে চাইলেন তাঁরা।

সাত বছরের ওই বালকের নাম মহম্মদ ইয়াসিন। চিন্নাসেমুর পঞ্চায়েত ইউনিয়ন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সে। জানা যাচ্ছে, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ স্কুলের টিফিন ব্রেকে সে বাইরে বেরিয়েছিল। আচমকাই দেখে সামনে পড়ে আছে টাকার বান্ডিল। কারও টাকা যে পড়ে গিয়েছে, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি বালকের। তবে সে টাকা যে সে নিজে নিয়ে নেবে এমনটা ভাবেনি। সুবোধ বালকের মতোই তা তুলে দেয় তার ক্লাস টিচারের হাতে। তিনি আবার সেই টাকা নিয়ে যান প্রধান শিক্ষকের কাছে। প্রধান শিক্ষক সঙ্গে সঙ্গে টাকা নিয়ে এবং বাচ্চাটিকে সঙ্গে নিয়েই যায় স্থানীয় থানায়। পুলিশ অফিসার তো খুদের সততার গল্প শুনে অবাক। সাধারণত বাচ্চারা কিছু পেলে তা বন্ধুদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। নয় বাড়ি নিয়ে চলে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে এই বাচ্চাটি যা করেছে তা নিঃসন্দেহে সততার পরিচয় বহন করে। তাঁরা ঠিক করেন, বাচ্চাটিকে পুরস্কৃত করা হবে। যাতে সততার মূল্য জীবনে আরও বেশি করে উপলব্ধি করে সে। সেই কারণেই তাকে পোশাক কিনে দেওয়া হয়। এছাড়া পুলিশের তরফ থেকে একটি শংসাপত্র দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। খুদের কাজ যাতে তার বন্ধুদেরও অনুপ্রাণিত করে, তা নিশ্চিত করতেই পুলিশের এই পদক্ষেপ। ইয়াসিনের এই সততার নুমনায় খুশি তার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।