তান্ত্রিকের যৌনাঙ্গ কাটল তরুণী! এরপর জানেন কি হল?


পাটনা : রোগ সারিয়ে দেওয়ার নাম করে ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতে তান্ত্রিকের যৌনাঙ্গ কেটে দিল এক তরুণী। বিহারের মাধেপুরা জেলায় গত ২ জুলাই এই ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

ওই তান্ত্রিক আবার সম্পর্কে তরুণীর মেসো৷ গত ১ জুলাই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই তরুণী। তখন তার মা নিজের বোনের স্বামী মহেন্দ্র মেহতাকে বাড়িতে ডাকেন। মহেন্দ্র(৩৫) তান্ত্রিক বলে পরিচিত। মহেন্দ্র জানায়, ওই তরুণীর ওপর ভূত ভর করেছে। এরপর সে মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সে তরুণীকে যৌন নিগ্রহের চেষ্টা করে। তরুণী বাধা দিলে মহেন্দ্র তার মুখ চেপে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

মহেন্দ্র আত্মীয়। তাই সে নির্জনে নিয়ে গিয়ে তরুণীটির সঙ্গে এ রকম করতে পারেন তা কেউ ভাবতেই পারেননি। তরুণীও কাউকে কিছুই জানায়নি। পরের দিন আবার ওই তরুণীর বাড়িতে যায় মহেন্দ্র। তখন বাড়িতে তার মা ছিলেন না। মহেন্দ্র তরুণীকে তার বাড়িতে আসতে বলে।

ধর্ষিত হওয়ার লজ্জা, অপমান, ক্ষোভে গুমরে মরছিল নির্যাতিতা। কোনও কথা না বাড়িয়ে সে গত ২ জুলাই মহেন্দ্রর বাড়িতে যায়। সঙ্গে ছিল ধারাল ছুরি এবং সেলফোন। মহেন্দ্রর সঙ্গে ঘরে ঢুকেই মোবাইলের ভয়েস রেকর্ডার অন করে দেয়। তাকে আবার ধর্ষণ করতে উদ্যত হলে ওই তরুণী ধারালো ছুরির কোপ বসিয়ে দেয় মহেন্দ্রর পুরুষাঙ্গে। এক্ষেত্রে তরুণীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি মহেন্দ্র। মহেন্দ্রর ওপর এভাবে প্রতিশোধ নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ওই তরুণী।

বাড়িতে এসেই বাবা-মাকে নিয়ে পুলিশের কাছে যায় সে। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ পুরো ঘটনা চেপে যাওয়ার পরামর্শ দেয় বলে অভিযোগ।

পরে সালিশি সভা বসে। সেখানে ওই তরুণীকে ডেকে পাঠানো হয়। শেষপর্যন্ত মাধেপুরার মহিলা থানায় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার হস্তক্ষেপে অভিযোগ দায়ের করতে সক্ষম হয় ওই তরুণী। তরুণীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনায় নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।ঘটনার পর থেকেই অধরা মহেন্দ্র তান্ত্রিক, তাকে ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।