প্রেমিকার দাবি মেটাতেই করেন চুরি ৬৩ বছরের ‘রোমিও’


বান্ধু সিং।

নাম রোমিও না হলেও স্বভাবে অন্তত তাই। বয়স ৬৩! প্রেমিকাদের 'ইমপ্রেস' করতে দিতে হবে দামি উপহার। আর এই রোমিওই প্রেমিকাদের জন্য হয়ে গেলেন পাক্কা চোর।

বান্ধু সিং। মাথার চুলে কলপ, তবে একেবারেই সাদামাটা চেহারা । তাতেই মজেছিলেন অনেকে। আর বান্ধুজির বয়স তেষট্টি হলে কী হবে, মন রঙিন। রয়েছে পাঁচ পাঁচ জন প্রেমিকা। প্রেমিকাদের দামী উপহার দিতেই তাই বেছে নিয়েছিলেন চুরির পথ। কখনও ল্যাপটপ, কখনও স্মার্ট ফোন, কখনও বা ব্র্যান্ডেড পোশাক উপহার দিতে হত, আর রোজগারপাতি তেমন কিছু নেই। বাড়ি দিল্লির মঙ্গলাপুরি বস্তিতে। তাই প্রেমিকাদের মন ভোলাতেই চুরির পথ বেছে নেয় বান্ধু।

বছর তেষট্টির বান্ধুর প্রেমিকাদের বয়স ২৮-৪০-এর মধ্যে। আর প্রেমিকাদের জন্য চুরি করতে করতে এত জিনিস বেড়ে গেল, চুরির জিনিস জমিয়ে রাখতে আলাদা ঘরভাড়াও নিয়ে নেয় বান্ধু।

উত্তর দিল্লির যে সমস্ত বাড়িতে সিসিটিভি নেই, বেছে বেছে সেই বাড়িতেই চুরি করত বান্ধু। তাহলেই তো পুলিশের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। থাকবে না কোনও তথ্যপ্রমাণ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সিসিটিভিকে বাল্ব ভেবে একটা বাড়িতে চুরি করতে যায় বান্ধু। আর তারপরই প্রকাশ্যে আসে এই রোমিও চোরের কীর্তি।

জগদীশ কুমার নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে প্রায় ৬০ হাজার নগদ টাকা ও ল্যাপটপ-সহ অসংখ্য জিনিস চুরি যায়। পুলিশে খবর দিলে জানা যায়, এটা বান্ধুর কাজ। তারপর জেরার মুখে বান্ধু আগের চুরিগুলির কথাও স্বীকার করে নেয়। তবে তার দাবি, এই সবকিছুই সে করেছে প্রেমিকাদের মন পেতে। বহুবার সে চুরি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিল। কিন্তু পারেনি। কারণ বছর দশেক আগে শুধুমাত্র টাকা না থাকায় এক প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। আর তাই তারপর থেকেই প্রেমিকাদের মূল্যবান উপহার দিতে সে দ্বিধাবোধ করত না। কিন্তু তার পুরোটাই চুরির টাকায়।

দিল্লির শাহদারা এলাকার ডিসিপি জানান, সিসিটিভি ফুটেজই কাল হয়েছে বান্ধুর। সেখান থেকেই ধরা পড়েছে এই রোমিও চোর।