সল্টলেক সেক্টর ফাইভে ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত , প্রতিবাদে বন্ধ সমস্ত খাবার স্টল


কলকাতা: বেদখল হয়ে গিয়েছে সল্টলেকের তথ্যপ্রযুক্তি অধিকাংশ ফুটপাত। জল জমলেও ফুটপাথ দিয়ে হাঁটার উপায় নেই। হকারদের ব্যবহার করা প্লাস্টিকে ভেঙে পড়েছে নিকাশি। পুর-পরিষেবা দিতে এবার কড়া হচ্ছে প্রশাসন। তবে সল্টলেকে বাস চলে এমন রাস্তার ওপর বসা হকারদেরই উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনকেডিএ ।

কোনও ঘোষণা ছাড়াই স্রেফ রাতারাতি মাইকিং করে দোকান উচ্ছেদের সিদ্ধান্তে পাল্টা বিক্ষোভের প্রস্তুতি দোকানদারদের। এদিন এলাকায় অনলাইনে অর্ডার দেওয়া খাবার ডেলিভারি করতে এসে সমস্যায় পড়ে সংস্থার ডেলিভারি বয়-রা ৷

অনলাইনে খাবার সরবরাহকারীদের বাধা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে এলাকার হকারদের বিরুদ্ধে ৷

বৃষ্টি হলেই জমা জল ভেঙে যাতায়াত। সল্টলেক সেক্টর ফাইভের তথ্য-প্রযুক্তি হাবের চেনা ছবিটা বদলাতে উদ্যোগী নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ ৷ ফুটপাথ দখলমুক্ত করা না গেলে যে কোনও দিন ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার জল জমার পরই তা স্পষ্ট হয়। ফুটপাথ দখল করে দোকান। হাঁটার উপায় নেই। জমা জল সরাতে খোলা যাচ্ছে না ম্যানহোল।

সেক্টর ফাইভে প্রতিদিন কাজে আসেন ২৫ লক্ষ মানুষ ৷ গত কয়েক বছরে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হকারের সংখ্যা ৷ মূল রাস্তার সবকটি ফুটপাথই হকারদের দখলে ৷ রাস্তার আগুন জ্বালিয়ে চলে রান্নার কাজ ৷ রাস্তায় জম জমলে ফুটপাথ দিয়ে চলার উপায় নেই ৷ জলের মধ্যে দিয়ে হাঁটার সময় বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এনিয়ে এনকেডিএ-র কাছে অভিযোগও জমা পড়ে ৷

অবস্থা হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সক্রিয় হয় প্রশাসন। সিদ্ধান্ত হয়, সেক্টর ফাইভের হাল ফেরাতে এবার বাস চলাচল করে এমন রাস্তাগুলির ওপর বসে থাকা হকারদের সরে যেতে হবে। তারপরই রাতারাতি সিদ্ধান্তে শুক্রবার মাইকিং করে জানানো হয় সিদ্ধান্ত ৷ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জেনে ক্ষুদ্ধ হকাররা। যদিও হকারদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থাও করছে রাজ্য।
এনকেডিএ-এর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এদিন সেক্টর ফাইভে সমস্ত দোকান বন্ধ রাখেন দোকানিরা। একটি আনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংখ্যার কর্মীদেরও খাবার সরবরাহ করা থেকে আটকাতে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ।