স্কুল সার্ভিস কমিশনের জাল ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণা, গ্রেপ্তার দম্পতি


স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতার শেষ নেই। দিন কয়েক আগে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৭৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। অথচ কমিশনের জাল ওয়েবসাইটে তৈরি করে রমরমিয়ে চলছে প্রতারণাচক্র! চাকরির টোপ দিয়ে কর্মপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। প্রতারণায় অভিযুক্তরা আবার সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিংয়ের বাসিন্দা সইফুল হক। তার স্ত্রী সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হুগলির মগরার বাসিন্দা। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের জাল ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণা চক্র চালাত ওই দম্পতি। ওয়েবসাইটে প্রথমে 'সফল'  কর্মপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হত। তারপর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা চাইত সইফুল ও তার স্ত্রী সোমা। চাকরির পাওয়ার আশায় টাকা দিতে প্রতারিত হয়েছেন অনেকেই। দিন কয়েক এই প্রতারক দম্পতির খপ্পরে পড়েন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা বাসিন্দা উদয় দাস। বিধাননগরের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

অভিযোগকারী উদয় দাসের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের জাল ওয়েবসাইটে 'সফল' কর্মপ্রার্থীদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল। চাকরি পাওয়ার জন্য ৬০ হাজার টাকা দিতে বলেছিল সইফুল ও সোমা। দ্রুত টাকা মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। এতেই সন্দেহ হয় উদয়ের। সল্টলেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনে অফিসে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন, ওই ওয়েবসাইটি ভুয়ো। সইফুল হক ও তাঁর স্ত্রী সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন উদয় দাস। দু'জনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী।

Highlights

জাল ওয়েবসাইটে 'সফল' কর্মপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হত।

চাকরির টোপ দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে টাকা চাইত অভিযুক্তেরা।

প্রতারিত হয়ে বিধানগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক কর্মপ্রা্র্থী।