সেনাবাহিনীতে ছিলেন ৩০ বছর, আজ জানলেন ভারতীয়ই নন!


৩০ বছর ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অবসর নিয়েছেন কয়েক বছর হল। যে দেশের হয়ে এত দিন 'সেবা' করলেন, আজ সেই দেশই জানিয়ে দিল তিনি এ দেশের নাগরিক নন। হ্যাঁ, এমন 'অদ্ভুত' ঘটনা ঘটল অসমের মহম্মদ আজমল হকের সঙ্গে। অসমের নাগরিক পঞ্জিকরণ তালিকায় ৩.২৯ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে নাম প্রকাশ হয় ২.৮৯ কোটি নাগরিকের। যার মধ্যে আজমল হকের নাম ছিল না।

স্বভাবতই নাম না থাকায়ন অবাক হয়েছেন আজমল। তিনি ডিএনএ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছয় মাস মিলিটারি প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর সেনার টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টএ পোস্টিং হয় তাঁর। কর্মসূত্রে বিভিন্ন জায়াগায় থাকতে হয়েছে তাঁকে। এমনকী পঞ্জাবের খেমকারানের এলওসি এলাকায় কাজ করেছেন আজমল। ইন্দোচিন সীমান্তেও বেশ কিছু দিন ছিলেন। জওয়ানের ভূমিকায় না থাকলেও সেকেন্দ্রাবাদের আইইএনই ট্রেনিং সেন্টারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন আজমল।

এই প্রাক্তন সেনাকর্মী জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন তিনি। আর এর এক বছর পরই তার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে! ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনের  (এনআরসি)কাছে নাগরিক পঞ্জিকরণে আবেদন জানান তিনি। কিন্তু এনআরসির প্রকাশিত তালিকায় নাম ছিল না আজমলের।

উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহীত ৩.২৯ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে প্রায় ২.৯০ কোটি নাম। রাজ্যের এনআরসির আধিকারিক প্রতীক হাজেলা জানিয়েছেন, চূড়ান্ত খসড়া থেকে বাদ পড়েছেন ৪০ লক্ষ আবেদনকারী। ২০১৫ সাল থেকে অসমে শুরু হয় নাগরিক পঞ্জিকরণ ব্যবস্থা। অসমের ৬৮.২৭ লক্ষ পরিবারের ৬.৫ কোটি মানুষ আবেদন করেন। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর প্রথম খসড়া প্রকাশ করেছিল এনসিআর। প্রথম খসড়ায় ২ কোটি নাগরিকের নাম প্রকাশ করা হয়। এ দিন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয়েছে গোটা অসমকে। জানা যাচ্ছে, ২২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিযুক্ত করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য পুলিসকেও। এ দিন সরকারি ছুটিও ঘোষণা করা হয় রাজ্যজুড়ে।