ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বধূকে খুনের চেষ্টা, রণক্ষেত্র আলিপুরদুয়ার


আলিপুরদুয়ার: গৃহবধূকে ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। প্রমাণ লোপাটের জন্য রক্তাক্ত গৃহবধূকে নালায় ফেল দেয় অভিযুক্ত। বুধবার গভীর রাতে নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের তোর্সা চা বাগান এলাকায়। অভিযুক্তের নাম সামসুদ্দিন মিঞা (৬৫)। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা গৃহবধূ দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে একাই থাকতেন। তাঁর স্বামী পেশায় শ্রমিক। বর্তমানে তিনি প্রতিবেশী ভুটানে কর্মরত। অভিযোগ, বুধবার মধ্যরাতে ওই গৃহবধুর বাড়িতে ঢুকে পড়ে প্রতিবেশী সামসুদ্দিন। ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় অভিযুক্ত। প্রমাণ লোপাটের জন্য গুরুতর জখম নির্যাতিতাকে এরপর বাড়ির কাছের একটি নালায় ফেলে দেয় অভিযুক্ত। নারকীয় অত্যাচারের সময় চুপ করে থাকলেও অভিযুক্ত এলাকা ছাড়ার পরই চিৎকার শুরু করে দুই নাবালিকা। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে রক্তাক্ত গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি তাঁকে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বর্তমানে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর গলায় গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে সকাল হতেই অভিযুক্তের বাড়িতে হামলা চালায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। ভাঙচুরের পাশাপাশি বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। একই সঙ্গে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সকাল থেকেই ভুটানাগামী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। হাসিমারা থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন এলেও জনরোষের চাপে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। দফায় দফায় বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গণেশ বিশ্বাস। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশিতে নেমেছে পুলিশ।