ভরা রেস্তরাঁয় মালিককে পর পর গুলি, ধরা পড়ল ক্যামেরায়


রেস্তরাঁর ক্যাশ কাউন্টারে বসে ছিলেন মালিক অলোক আর্য। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। রবিবার। এমনিতেই ছুটির দিন। ফলে রেস্তরাঁতে ভিড় ছিল ভালই। একটি টেবিলে এক পরিবার রাতের ভোজ সারছিল। কয়েক হাত দূরেই কিছু যুবক খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে গল্পে মশগুল ছিলেন।  

এর মধ্যেই সাদা জামা, জিনসের প্যান্ট পরা, গলায় গামছা জড়ানো এক ব্যক্তিকে খুব ধীরস্থির ভাবেই রেস্তরাঁয় ঢুকতে দেখা গেল। সঙ্গে আরও দু'জন। সাদা জামা পরা ওই ব্যক্তি সোজা চলে আসে ক্যাশ কাউন্টারের দিকে। তখনও রেস্তরাঁয় উপস্থিত লোকজন, রেস্তরাঁর কর্মী এমনকি মালিক অলোক আর্যও বুঝতে পারেননি কী ভয়ানক ঘটনা ঘটতে চলেছে।

ওই ব্যক্তি ক্যাশ কাউন্টারের সামনে এসে পকেট থেকে একটা পিস্তল বের করে চোখের নিমেষে অলোক আর্যকে কাছ থেকে পর পর তিনটে গুলি করে সে। আচমকা এমন কাণ্ডে সবাই হতভম্ব হয়ে যান। রেস্তরাঁর কর্মীরা গুলির শব্দ পেয়েই ছুটে আসেন। ওই ব্যক্তিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। অলোক আর্যের বুকে গুলি লাগে। মেঝেয় লুটিয়ে পড়েন তিনি। রেস্তরাঁর কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের ঘটনা। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি এক জন ঠিকাদার। ওই দিন সকালে রেস্তোরাঁর কর্মচারীদের সঙ্গে খাবার নিয়ে একটা ঝামেলা হয় তার। মালিক অলোক আর্য মধ্যস্থতা করে তখনকার মতো বিষয়টা মিটমাট করেন। কিন্তু সন্ধ্যাবেলায় ওই ব্যক্তি ফের আসে, সঙ্গে আরও দু'জন ছিল। হঠাত্ই হামলা চালায় অলোকের উপর। অলোক সুলতানপুরের ব্যবসায়ী সমিতির এক জন বড় মাথা। এই হামলা কি ওই দিন সকালের ঘটনার রেশ, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খোঁজ চালানো হচ্ছে অভিযুক্ত ও তার দুই সঙ্গীর।