নির্ভয়া হত্যাকাণ্ড থেকে বিচার প্রক্রিয়া!


দিল্লিতে ২০১২-র নৃশংসতম ঘটনা। যার পরবর্তী প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে চলছে আইনি লড়াই। সর্বোচ্চ আদালতে বহাল শাস্তি। তবে এর মধ্যে ঘটেছে নানা ঘটনা। তারই কালানুক্রমিক সারসংক্ষেপ ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলায়।

২০১২
১৬ ডিসেম্বর
বছর ২৩-এর প্যারা মেডিকেল ছাত্রীকে ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর রাতে দক্ষিণ দিল্লিতে বাসের মধ্যে ছয়জন মিলে ধর্ষণ করে। এরপর তার ওপর নৃশংস অত্যাচার করা হয়। পরে বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে তাকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়

১৭ ডিসেম্বর
ঘটনার প্রতিবাদে দেশ ব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি ওঠে। পুলিশ চার অভিযুক্তকে সনাক্ত করে। যাদের মধ্যে ছিল বাসচালক রাম সিং, তার ভাই মুকেশ, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা।

১৮ ডিসেম্বর
পুলিশ ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

২০ ডিসেম্বর
পুলিশ নির্ভয়ার সঙ্গে থাকা বন্ধুর বয়ান নথিভুক্ত করে।

২১ ডিসেম্বর
দিল্লির আনন্দ বিহার বাস টার্মিনাল থেকে পুলিশ নাবালক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ষষ্ঠ অভিযুক্তের সন্ধানে হরিয়ানা, বিহারে অভিযান চালায় পুলিশ। যাকে অক্ষয় ঠাকুর বলে সনাক্ত করা হয়।

২১ ও ২২ ডিসেম্বর
পুলিশ অক্ষয় ঠাকুরকে বিহারের ঔরঙ্গাবাদ থেকে গ্রেফতার করে। বিচারের জন্য তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নির্ভয়ার বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ।

২৩ ডিসেম্বর
দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ জোরদার হয়। মারধরের জেরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় দিল্লির পুলিশ কনস্টেবল সুভাষ তোমারকে।

২৫ ডিসেম্বর
হাসপাতালে আশঙ্কাজনক নির্ভয়া। অন্যদিকে পুলিশ কনস্টেবল সুভাষ তোমারের মৃত্যু।

২৬ ডিসেম্বর
হার্ট অ্যাটাকের জেরে নির্ভয়াকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে।

২৯ ডিসেম্বর
ভোর ২.১৫-তে হাসপাতালে নির্ভয়ার মৃত্যু। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের ধারা যুক্ত হয়।

২০১৩
২ জানুয়ারি
যৌন নিগ্রহের ঘটনার দ্রুত তদন্তের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের কথা জানান প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীর।

৩ জানুয়ারি
৫ প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট। খুন, গণধর্ষণ, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।

৫ জানুয়ারি
আদালতকে চার্জশিট সম্পর্কে জানানো হয়।

৭ জানুয়ারি
আদালত ক্যামেরার সামনে মামলার শুনানির নির্দেশ দেয়।

১৭ জানুয়ারি
ফাস্টট্র্যাক কোর্টে অভিযুক্তদের বিচার শুরু হয়।

২৮ জানুয়ারি
জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড জানায় ষষ্ঠ অভিযুক্ত নাবালক।

২ ফেব্রুয়ারি
৫ প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।

২৮ ফেব্রুয়ারি
নাবালকের বিরুদ্ধেও চার্জ গঠন করা হয়।

১১ মার্চ
দিল্লির তিহার জেলে বাসচালক রাম সিংকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

২২ মার্চ
শুনানির সময় সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতির অনুমতি দেয় দিল্লি হাইকোর্ট

৫ জুলাই
জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড ট্রায়াল শেষ করে। রায়দানের জন্য ১১ জুলাই নির্দিষ্ট করা হয়।

৮ জুলাই
ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করা হয়।

১১ জুলাই
১৬ ডিসেম্বরের ঘটনায় যুক্ত হওয়ার আগে নাবালক অভিযুক্ত ছুতোরের ঘরে চুরিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

২২ অগাস্ট
বাকি ৪ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুক্তি পেশ করার কাজ শুরু হয়।

৩১ জুলাই
নাবালক অভিযুক্তকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের জন্য কারেকশনাল হোমে রাখার আদেশ দেওয়া হয়।

৩ সেপ্টেম্বর
ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ট্রায়াল শেষ করে।

১০ সেপ্টেম্বর
মুকেশ, বিনয়, অক্ষয়, পবনকে খুন এবং গণধর্ষণ-সহ ১৩ টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

১৩ সেপ্টেম্বর
আদালত ৪ জনকে মৃত্যুর সাজা দেয়।

২৩ সেপ্টেম্বর
ট্রায়াল কোর্টের রায় মিয়ে হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।

২০১৪
৩ জানুয়ারি
দিল্লি হাইকোর্ট দণ্ডপ্রাপ্তদের নিয়ে আদেশ স্থগিত রাখে।

১৩ মার্চ
হাইকোর্টেও ৪ অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখে।

১৫ মার্চ
হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

১৫ এপ্রিল
সর্বোচ্চ আদালতের তরফে পুলিশের কাছে দেওয়া নির্ভয়ার মৃত্যুকালীন জবানবন্দী আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেয়।

২০১৫
২০ ডিসেম্বর
২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর প্রাপ্ত বয়স্ক হতে কয়েক মাস বাকি ছিল নাবালক অভিযুক্তের। ফলে সে কারেকশনাল হোম থেকে ছাড়া পেয়ে যায়। সারা দেশ জুড়ে এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

২০১৭
৩ ফেব্রুয়ারি
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, মৃত্যুদণ্ড নিয়ে তারা আবার দোষীদের আবেদন শুনবে।

২৭ মার্চ
দোষীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত তাদের রায়দান স্থগিত রাখে।

৫ মে
৪ অভিযুক্তের মৃত্যু দণ্ডাদেশ বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত। ঘটনাটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে বর্ণনা করে সর্বোচ্চ আদালত।

২০১৮
৯ জুলাই
দোষীদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত।