প্রেমিকা ও তাঁর নতুন প্রেমিকের মারধর, অপমানে আত্মঘাতী কলেজ পড়ুয়া


প্রথমে প্রেমে প্রত্যাখ্যান। তার পর প্রেমিকা ও তাঁর নতুন প্রেমিকের হাতে মারধর। অপমানে আত্মঘাতী হলেন সাঁইথিয়া অভেদানন্দ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র। মৃতের নাম সজল দাস। সিউড়ি থানায় প্রেমিকা ও তাঁর পুরুষ বন্ধুর বিরুদ্ধে সিউড়ি অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার তদন্ত শুরু হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথমে প্রেমে প্রত্যাখ্যান। তার পর প্রেমিকা ও তাঁর নতুন প্রেমিকের হাতে মারধর। অপমানে আত্মঘাতী হলেন সাঁইথিয়া অভেদানন্দ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র। মৃতের নাম সজল দাস। সিউড়ি থানায় প্রেমিকা ও তাঁর পুরুষ বন্ধুর বিরুদ্ধে সিউড়ি অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার তদন্ত শুরু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সিউড়ি  থানা এলাকার মাঝিগ্রামের বাসিন্দা সজল দাসের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল স্থানীয় ইকরা গ্রামের বাসিন্দা এক যুবতীর। দুই বাড়ির মধ্যে বিয়ের কথাবার্তাও চলছিল। এর মধ্যে শনিবার সজলকে ফোন করে ডেকে পাঠায় ওই যুবতী। জানায়, সজলকে বিয়ে করতে রাজি নয় সে। সৌরভ মাহারা নামে একটি ছেলের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তাঁর। 

এর পরই দু'জনের মধ্যে বিতণ্ডা বাঁধে। কথা কাটাকাটি থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। সেই সময় যুবতী ও তাঁর নতুন প্রেমিক সজলকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। বাড়িতে ফিরে কাউকে কিছু না জানিয়ে বিষের বড়ি খান সজল। এর পর ফোনে দাদাকে সব কথা জানান তিনি। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকেরা তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় সজলের। 

সজলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে তার ডায়েরি। তাতে লেখা রয়েছে, 'এতদিনের আমাদের এই সম্পর্কের ইতি এইভাবে হতে পারে না। তোমার জন্য আমি সব কিছু ত্যাগ করেছি। আমার বুঝিয়ে এই সম্পর্কের স্বীকৃতি আদায় করেছি পরিবারের কাছে। আমার ক্ষমতার বাইরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিস কিনে উপহার দিয়েছি তোমায়। তুমি আমাকে এইভাবে ছেড়ে যেতে পারো না।' 

পরিবারের অভিযোগ সব জেনে সজলকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে ওই মেয়ে। তরুণী ও তাঁর পুরুষ বন্ধুর কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন মৃতের দাদা। এই ঘটনায় সিউড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।