গোমাংস খাওয়া ছাড়ুন, বন্ধ হবে গণপিটুনি, অভিনব দাওয়াই আরএসএস নেতার


গোমাংস খাওয়া বাদ দিলেই বন্ধ হবে গণপিটুনি, মন্তব্য ইন্দ্রেশ কুমারের। 


সুপ্রিম কোর্ট নতুন আইন আনার কথা বলেছে। গণপিটুনি রুখতে সে সবে আস্থা নেই হরিয়ানার আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমারের। তিনি বরং নিজের মতো দাওয়াই বাতলেছেন, গোমাংস খাওয়া ছেড়ে দিলেই অলওয়ারের মতো গণপিটুনির ঘটনা আটকানো যাবে। একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, হিন্দু ধর্মকে সাম্প্রদায়িক বললে সব ধর্মকেই একই তকমা দিতে হবে।

স্বঘোষিত গোরক্ষদের গণপিটুনি বন্ধ করতে এবার অভিনব 'দিশা' দেখালেন দিলেন ইন্দ্রেশ কুমার। সোমবার ঝাড়খণ্ডে জাগরণ হিন্দু মঞ্চের সূচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ''গোমাংস খাওয়া ছেড়ে দিন, তাহলেই গণপিটুনি বন্ধ হয়ে যাবে।'' দারিদ্র আর হিংসা রুখতে আরএসএস নেতার জোড়া হিতোপদেশ, ''অবশ্যই গো-রক্ষা করা এবং গোবরকে সিমেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা উচিত। তাহলেই অভাব আর গণপিটুনিতে পূর্ণচ্ছেদ পড়বে।''

এরপর ইন্দ্রেশের যুক্তি, যিশু আস্তাবলে জন্মেছিলেন বলে খ্রিষ্টান ধর্মে গরুকে পবিত্র হিসাবে গণ্য করা হয়। মুসলিমদের তীর্থক্ষেত্র মক্কা, মদিনায় গো-হত্যা অপরাধ। তাহলে আমরা কি গো-হত্যা বন্ধ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে পারি না? গো-রক্ষার এই প্রতিজ্ঞা করলেই গণপিটুনির সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।''

দেশবাসীকে সংস্কারের 'শিক্ষা'ও দিয়েছেন কট্টর হিন্দুত্ববাদী এই নেতা। বলেছেন, ''আইন আইনের কাজ করবে। কিন্তু হিংসা রুখতে সমাজের 'সঠিক সংস্কার'ও দরকার।'' প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন জনতার উদ্দেশ্যেই, ''আপনারাই বলুন, ''পৃথিবীর কোনও ধর্মস্থানে কি গো-হত্যা সমর্থন করা হয়?''

শুক্রবার রাতে অলওয়ারে স্বঘোষিত গোরক্ষকদের মারে মৃত্যু হয় রাখবর খানের। গতবছর পেহলু খানের পর ফের এই অলওয়ারেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তারপর থেকে বিতর্কিত মন্তব্যও থেমে নেই। রবিবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল মন্তব্য করেন, 'মোদীর জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলেই গণপিটুনির মতো ঘটনা বাড়ছে'। আর তার পরের দিনই আরএসএস নেতার এই দাওয়াইয়ে ফের বিতর্ক দানা বাঁধছে।