আজ মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর কৃষককল্যাণ সভা


মেদিনীপুর : আজ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পশ্চিম মেদিনীপুরে মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে কৃষককল্যাণ সভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হবে তাঁর ভাষণ। কেন্দ্রীয় সরকার ৪ বছরে কৃষকদের জন্য কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তা রাজ্যের মানুষের কাছে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। খরিফ শস্যের মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস (MSP) বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বৃদ্ধির ব্যাপারে কেন্দ্রের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তই তাঁর ভাষণের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে থাকবে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, মেদিনীপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী একাধিক নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে BJP। উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে ভালো ফল করেছে BJP। সেকারণে এরাজ্যে আশার আলো দেখছে BJP-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গতকাল বিকেলে সভার মাঠ পরিদর্শন করেন রাজ্য BJP সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরে তিনি বলেন, "রাজ্যে BJP সংগঠনিকভাবে এগিয়েছে বলেই বাংলাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অমিত শাহ। আগামী লোকসভা নির্বাচনেও বাংলার উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।"

আজ সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কলাইকুণ্ডায় নামবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে যাবেন মেদিনীপুর পুলিশ লাইন। এরপর আড়াই কিমি রাস্তা গাড়িতে গিয়ে মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে পৌঁছাবেন। দুপুর ১২টা ৩০ নাগাদ ভাষণ দিয়ে একই রুটে ফিরে যাবেন। সভায় BJP-র কিষান মোর্চার তরফে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে উত্তর দিনাজপুরের তুলাইপাঞ্জি ও ব্ল্যাক রাইস চাল এবং শিলিগুড়ি সংলগ্ন বিধাননগরের আনারস। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করার সময় তাঁর মাথায় কৃষকদের টোকা পরানো হবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর হাতে একটি প্রতীকী লাঙল তুলে দেওয়া হবে।

এদিকে দু'দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে মেদিনীপুর কলেজ মাঠের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। গতকাল সকাল দফায় দফায় বৃষ্টি কপালে ভাঁজ ফেলেছে BJP নেতাদের। এদিকে, আজ ভোর থেকেই সভাস্থলে মানুষজন আসতে শুরু করেন। সভায় প্রায় ৫ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশাবাদী BJP নেতৃত্ব। পশ্চিম মেদিনীপুর ছাড়াও বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে আসবেন BJP-র কর্মী-সমর্থকরা।

প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সভাস্থানের ৩০০ মিটারের মধ্যে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছে প্রশাসন। শহরের প্রধান প্রধান জায়গায় যানবাহন ঢোকা বন্ধ করা হয়েছে।