২৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রেনের বাথরুমে ২ মহিলার খুনের কিনারা! হত্যাকারী পরিচয় জানলে অবাক হবেন


২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ট্রেনের টয়লেটে দুই মহিলাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এক চা বিক্রেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তিনসুকিয়া স্টেশনে ঝাঁঝা ডিব্রুগত সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসের মধ্যে তৃতীয় টার্গেট খোঁজার সময় বিকাশ দাস নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে রেল পুলিশ সূত্রে।

পুলিশের দাবি, ট্রেনের মধ্যে আগের দুটি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিকাশ দাস জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে সে একথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। এমন কী মৃত দুজনের ব্যবহার করা কিছু জিনিসও উদ্ধার করা হয়েছে বিকাশের কাছ থেকে। বিকাশের এক সহযোগী বিপিনকুমার পাণ্ডেকে পানিপুর স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিকাশ দাস সম্প্রতি ট্রেনের মধ্যেই অসমের ট্র্যাডিশনাল গামছা, কাপড়-সহ পোশাক বিক্রি শুরু করেছিল।

পুলিশের তরফে এর আগে অভিযুক্তের একটি স্কেচ প্রকাশ করা হয়েছিল। বিকাশের প্রথম শিকার অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মা-র কাছ থেকে পাওয়া বয়ান অনুযায়ী সেই স্কেচ আঁকা হয়।

মঙ্গলবার সকালে অসমের শিবসাগর জেলার সিমালুগুড়ি স্টেশনে ট্রেন যখন দাঁড়িয়ে ছিল তখন ট্রেনের টয়লেট থেকে ছাত্রীর দেহ পাওয়া যায়। সকাল ৮.৩০-এ শিবসাগর ট্রেনটি শিবসাগর স্টেশন ছেড়েছিল। এর মিনিট ২০ পরেই ঘটনাটি ঘটে।

ছাত্রীটি কাকার বাড়িতে যাচ্ছিল। গোলাঘাট জেলার ফুরকাটিং স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিল সে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, যে সময় ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়, সেই সময় তার মুখ রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। মুখের কাটা দাগগুলি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। ট্রেনে ওঠার আগে মা তাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তা আর পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪৮ বছর বয়সী এক মহিলার দেহ অবধ অসম এক্সপ্রেসের টয়লেট থেকে পাওয়া যায়। জোরহাট জেলার মারিয়ানি জংশনে এই খোঁজ মেলে।

দুটি খুনের প্রকৃতিও ছিল এক। ঘাড়ের কাছে ছিল গামছা। দুই মহিলার কাপড়েই বীর্ষের নমুনা পাওয়া গিয়েছিল। যার ওপর ভিত্তি করেই, খুনের সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগও আনা হয়েছে।