বেআইনিভাবে হাজার কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ, পৈলান কর্তার বাড়িতে সিবিআই


চিটফান্ড কাণ্ডে জড়াল বেসরকারি সংস্থা পৈলানের নাম। বেআইনিভাবে হাজার কোটি টাকা তোলার অভিযোগ। এবার অভিযোগ উঠল বেসরকারি সংস্থা পৈলানের বিরুদ্ধে। এহেন অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এই মুহূর্তে পৈলানের কর্ণধার অপূর্ব সাহার বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি শুরু করেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। বালিগঞ্জ পার্কের আবাসনে পৌঁছে গিয়েছেন ছ'জনের একটি দল। চলছে অভিযান। বেআইনি টাকা ঠিক কী কী স্কিম দেখিয়ে সংগ্রহ করা হয়েছিল তাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কর্ণধারের বাড়িতে সেই সংক্রান্ত নথির হদিশ করতেই চলছে তল্লাশি।

জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন আগেই সিবিআইয়ের কাছে পৈলানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। সেবি-র তরফ থেকেও অভিযোগ জানানো হয় যে, সংস্থার বিভিন্ন অফিস মারফত কোটি কোটি টাকা আসছে। মূলত চিটফান্ডের দোহাই দিয়েই তোলা হচ্ছে টাকা। বিভিন্ন স্কিমের লোভ দেখিয়ে জেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকে সংস্থার কর্মীরা টাকা সংগ্রহ করছেন। ইতিমধ্যে এমন কয়েক হাজার কোটি টাকা পৈলানের সংগ্রহে এসেছে। ভিজিলেন্সের তরফেও একই অভিযোগ আসে সিবিআইয়ের কাছে। তারপরই তল্লাশির সিন্ধান্ত নেন আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার বালিগঞ্জ, জেলার সোনারপুর বাঁকুড়া-সহ পাঁচটি জায়গায় শুরু হয়েছে অভিযান। এদিন একেবারে ভোর থাকতেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে বৈঠকে বসেন সিবিআইয়ের কর্তাব্যক্তিরা। তারপর ৩০ জনের একটি দল পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে উল্লেখিত জায়গাগুলিতে ছড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় ম্যারাথন তল্লাশি। পৈলান কর্তার বাড়িতে থাকা যাবতীয় নথি খতিয়ে করে দেখা হচ্ছে। বেআইনিভাবে তিনি ঠিক কত টাকা সাধারণ মানুষের থেকে নিয়েছেন তা জানতেই চলছে তল্লাশি। কী স্কিমের লোভ দেখিয়ে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে, তাও জানার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই গোটা প্রক্রিয়ার পিছনে প্রভাবশালীদের হাত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। ঠিক কোন কোন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের ছত্রছায়ায় নির্বিঘ্নে নিজের বেআইনি ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছেন অপূর্ব সাহা, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

উল্লেখ্য, ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগে কিছুদিন আগেই ইডির নজরদারিতে এসেছেন সহকারী পিএফ কমিশনার রমেশচন্দ্র সিং। এরপরেই লাগাতার তল্লাশিতে নেমে চারুমার্কেট, বেহালা, সোনারপুর, পার্কস্ট্রিট-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছেন ইডির আধিকারিকরা। সহকারী পিএফ কমিশনারের স্ত্রীকেও জেরা করা হচ্ছে। প্রায় দু'কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গোটা ঘটনা সম্পর্কে অন্ধকারেই ছিলেন পিএফ কমিশনার পিকে মিশ্র। এই তথ্য ইডির আধিকারিকদের হাতে এসেছে। যদিও তা মানতে নারাজ গোয়েন্দারা। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঠিক এরই মাঝে ফের চিটফান্ড কাণ্ড শহরে। তাতে জড়ালো বেসরকারি সংস্থা পৈলানের নাম।